ক্রুসিফেরাস সবজি
ব্রোকলি, ফুলকপি ও বাঁধাকপির মতো ক্রুসিফেরাস সবজি লিভারের প্রাকৃতিক ডিটক্স প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এই সবজিতে থাকা বিশেষ যৌগ লিভারকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এগুলির ক্যান্সার-বিরোধী গুণ লিভারকে দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষিত রাখে। নিয়মিত এই সবজি খেলে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমার প্রবণতাও কমে।
কফি
অনেকেই জানেন না, পরিমিত কফি পান লিভারের জন্য উপকারী। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় কফি পান করলে দীর্ঘস্থায়ী লিভার রোগ ও লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যেতে পারে।
মাছ এবং বাদাম
স্যামন, সার্ডিনের মতো মাছ এবং আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তার মতো বাদাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এই উপাদানগুলি লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি হ্রাস করে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় মাছ ও বাদাম রাখলে লিভার দীর্ঘদিন সুস্থ থাকে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বড় পরিবর্তনের দরকার নেই—শুধু সঠিক খাবার বেছে নিলেই লিভারকে রাখা যায় ভালো।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: প্রতিদিন ব্রোকলি খাওয়া কি জরুরি?
উত্তর: প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে ৩–৫ দিন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ২: দিনে কত কাপ কফি লিভারের জন্য ভালো?
উত্তর: সাধারণত ৩–৪ কাপ পরিমিত ও নিরাপদ বলে ধরা হয়।
প্রশ্ন ৩: কোন মাছ লিভারের জন্য বেশি উপকারী?
উত্তর: স্যামন ও সার্ডিনের মতো তৈলাক্ত মাছ বেশি উপকারী।
প্রশ্ন ৪: বাদাম কি কাঁচা খাওয়া ভালো?
উত্তর: হ্যাঁ, লবণ ছাড়া কাঁচা বা হালকা ভাজা বাদাম ভালো।
প্রশ্ন ৫: এই খাবার খেলেই কি লিভার রোগ হবে না?
উত্তর: ঝুঁকি কমে, তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও জরুরি।