বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি করে টাকা পাচ্ছেন না দর্শকরা, প্রশ্নের মুখে ফিফা

Published By: Khabar India Online | Published On:

বিশ্বকাপের উত্তেজনার আগেই দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বড় অনিশ্চয়তা। টিকিট বিক্রি করে টাকা না পাওয়ার অভিযোগে এবার চরম বিতর্কে জড়াল FIFA

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অফিসিয়াল রিসেল মার্কেটপ্লেস চালু করেছিল ফিফা। সেই প্ল্যাটফর্মে বহু দর্শক নিজেদের কেনা টিকিট পুনর্বিক্রি করেন। কিন্তু বিক্রির পর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও অনেকেই এখনো পাননি প্রাপ্য অর্থ। কারো কারো ক্ষেত্রে অপেক্ষা দুই মাস ছাড়িয়েছে, কেউ আবার হারিয়েছেন কয়েক হাজার পাউন্ডের মতো বড় অঙ্ক।

ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো টিকিট পুনর্বিক্রি হলে সর্বোচ্চ ৬০ ক্যালেন্ডার দিনের মধ্যে বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত যাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে সেই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অক্টোবরের শুরুতে যারা টিকিট বিক্রি করেছিলেন, তাদের অনেকেই এখনো রিফান্ড পাননি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি স্পোর্টসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিলম্বের পেছনে মূলত ব্যাংকিং জটিলতাকেই দায়ী করছে ফিফা। কিছু বিক্রেতার কাছে অতিরিক্ত ব্যাংক তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেই তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত অর্থ ফেরত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে, কারণ এর আগেই ফিফা দাবি করেছিল, রিফান্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিক্রেতার মূল পেমেন্ট কার্ডেই পাঠানো হবে। গত ২ অক্টোবর থেকে চালু হওয়া এই রিসেল মার্কেটপ্লেসে টিকিটধারীরা নিজেরাই বিক্রয়মূল্য ঠিক করতে পারেন। যদিও প্রতিটি লেনদেনে ফিফা ক্রেতা ও বিক্রেতা—উভয়ের কাছ থেকেই ১৫ শতাংশ করে কমিশন কেটে নেয়।

এর পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও বিপুল সংখ্যক টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের প্রি-সেল পর্বে ভিসা কার্ডধারীদের জন্য ১০ দিনের একটি ড্রয়ের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছিল। তবে ঠিক কতজন দর্শক এই পেমেন্ট সমস্যায় পড়েছেন, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করেনি ফিফা। একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন টাকা দেওয়া যাচ্ছে না, সে প্রশ্নেও আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা অনুপস্থিত।

প্রশ্ন ও উত্তর

১) ফিফার রিসেল মার্কেটপ্লেস কী?
এটি ফিফার অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্ম, যেখানে দর্শকরা নিজের কেনা টিকিট পুনর্বিক্রি করতে পারেন।

২) রিফান্ড পেতে কত সময় লাগার কথা?
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৬০ ক্যালেন্ডার দিনের মধ্যে টাকা ফেরত পাওয়ার কথা।

৩) কেন অনেক দর্শক এখনো টাকা পাননি?
ফিফার দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকিং জটিলতা ও অতিরিক্ত তথ্যের অভাবই মূল কারণ।

৪) ফিফা কি কমিশন কাটে?
হ্যাঁ, প্রতিটি লেনদেনে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ কমিশন কাটা হয়।

৫) বিষয়টি কি ২০২৬ বিশ্বকাপের ওপর প্রভাব ফেলবে?
সরাসরি নয়, তবে দর্শকদের আস্থার ওপর বড় প্রভাব পড়তে পারে।