একটি রায়, আর তাতেই নতুন করে উত্তাল হওয়ার ইঙ্গিত পাকিস্তানের রাজনীতিতে। তোশাখানা-২ মামলায় সাজা ঘোষণার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী Imran Khan। এই রায়কে তিনি সরাসরি রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
জেলবন্দি অবস্থায় থাকা ইমরান খানের দাবি, আদালত কোনো শক্ত প্রমাণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তার মতে, বিগত কয়েক বছরে তার বিরুদ্ধে যেসব রায় এসেছে, সেগুলোর ধারাবাহিকতাই হলো তোশাখানা-২ মামলার এই সাজা।
পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে রাজপথের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। ইমরান খানের আহ্বান, দেশের মানুষকে নিজেদের অধিকার আদায়ে জেগে উঠতে হবে।
তিনি আরও বলেছেন, আইনের শাসন ও সংবিধান পুনরুদ্ধার ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য আইনজীবী সমাজকেও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে পিটিআই এক বিবৃতিতে এই রায়কে অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে উল্লেখ করেছে। দলটির নেতাদের অভিযোগ, এই সাজা মূলত ইমরান খানের কারাবাস দীর্ঘায়িত করার কৌশল।
পিটিআই মহাসচিব সালমান আকরাম রাজা জানিয়েছেন, আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতে ইমরান খান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—কোনো পরিস্থিতিতেই তিনি ক্ষমা চাইবেন না।
প্রশ্ন ও উত্তর
১) তোশাখানা-২ মামলায় কী অভিযোগ?
রাষ্ট্রীয় উপহার সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে।
২) ইমরান খান কেন এই রায় প্রত্যাখ্যান করছেন?
তার দাবি, প্রমাণ ও আইনি প্রক্রিয়া মানা হয়নি।
৩) কী ধরনের আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে?
দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ রাজপথের আন্দোলনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
৪) রায়ের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে?
ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করার পরিকল্পনা রয়েছে।
৫) পিটিআইয়ের অবস্থান কী?
দলটি একে রাজনৈতিক প্রতিশোধ ও নিপীড়নের উদাহরণ বলছে।

