ছায়ানটে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ—ধানমন্ডির সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের সামনে আবারও সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকেই ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছায়ানটে যেন পুনরায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যেই এই নিরাপত্তা বেষ্টনি জোরদার করা হয়েছে। ভবনের আশপাশে টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ছায়ানট ভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করে। ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকে ছায়ানটের সদস্যরা ভবনের ভেতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেন।
তবে জুমার নামাজের আগে পরিস্থিতি বিবেচনায় সব সদস্যকে ভবন ত্যাগ করতে বলা হয়। সদস্যদের আশঙ্কা, নামাজের পর ফের হামলার চেষ্টা হতে পারে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আপাতত ভবন খালি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানান, আগের রাতের ঘটনার পর ছায়ানটসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
প্রশ্ন ও উত্তর
ছায়ানটে কেন বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে?
আগের রাতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর পুনরায় হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
কোথায় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে?
ধানমন্ডির ছায়ানট ভবন ও আশপাশের এলাকায়।
ছায়ানটের সদস্যরা কেন ভবন ছেড়েছেন?
জুমার নামাজের পর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে।
পুলিশ কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে?
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, টহল বৃদ্ধি ও সার্বক্ষণিক নজরদারি।
পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হতে পারে?
নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

