কবে আবার ঢাকার ট্রেন ছুটবে হলদিবাড়ি থেকে? এই প্রশ্নেই এখন দিন গুনছেন সীমান্ত এলাকার মানুষ। কিন্তু উত্তর এখনও অনিশ্চিত। রাজনৈতিক অস্থিরতা আর নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে থমকে রয়েছে মিতালি এক্সপ্রেস।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মিতালি এক্সপ্রেস (Mitali Express)। একই সঙ্গে থেমে যায় হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটের পণ্যবাহী ট্রেনও। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে হলদিবাড়ি স্টেশন কার্যত আন্তর্দেশীয় রেল যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন।
সূত্রের খবর, ট্রেন চলাচল পুনরায় চালু করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। বাংলাদেশ রেলওয়ে ইতিমধ্যেই দুই দফায় ভারত সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ভারত এখনই কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বলেই জানা যাচ্ছে। শিগগিরই বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফে ফের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী বছর মার্চ মাসে ঢাকায় ৩৮তম আন্তঃসরকার রেলওয়ে সভা হওয়ার কথা। যদিও এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। সেই বৈঠকেই দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে হলদিবাড়ি স্টেশনের আধিকারিকদের বক্তব্য, চিলাহাটি স্টেশন থেকে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন দপ্তর তুলে নেওয়া হওয়ায় বাস্তবে ট্রেন চালু করা সহজ নয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রায় ৫৭ বছর পর হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। এই রুট চালু থাকলে বাংলাদেশে তেল, পাথর ও সিমেন্ট পরিবহণে সময় ও খরচ দুইই কমত। এখন সেই সুবিধা না থাকায় ঘুরপথে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে পণ্য পরিবহণ করতে হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, এই রেলপথ শুধু ভারত-বাংলাদেশ নয়, নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গেও ব্যবসায়িক যোগাযোগের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিল। ট্রেন বন্ধ থাকায় সেই সম্ভাবনাও কার্যত থমকে গেছে।
প্রশ্ন ও উত্তর
Q1. মিতালি এক্সপ্রেস কেন বন্ধ রয়েছে?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
Q2. বাংলাদেশ কি ট্রেন চালু করতে চায়?
হ্যাঁ, বাংলাদেশ রেলওয়ে একাধিকবার আগ্রহ প্রকাশ করে ভারতকে চিঠি দিয়েছে।
Q3. ভারত কেন এখনও অনুমতি দিচ্ছে না?
নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে ভারত সরকার এখনই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না।
Q4. কবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে?
আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তঃসরকার রেলওয়ে সভায় আলোচনা হতে পারে।
Q5. ট্রেন বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি কার?
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সীমান্ত এলাকার অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়েছে।

