ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ, বাংলাদেশের ট্রলার ও মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার

Published By: Khabar India Online | Published On:

বঙ্গোপসাগরের জলে আবারও ছায়া ফেলল আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘিরে উত্তেজনা। ভারতের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরার অভিযোগে বাংলাদেশের দু’টি ট্রলার আটক করল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর এফবি ‘রূপসী সুলতানা’ ও এফবি ‘সাবিনা’ নামে দু’টি বাংলাদেশি ট্রলার ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরছিল। নিয়মিত টহলের সময় বিষয়টি নজরে আসে বাহিনীর সদস্যদের।

এরপর ট্রলার দু’টি আটক করে সেখানে থাকা মৎস্যজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যায়, তাঁরা বাংলাদেশের কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা। মোট ৩৫ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে ফ্রেজারগঞ্জে নিয়ে আসা হয়।

বুধবার বিকেলে তাঁদের ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ধৃত মৎস্যজীবীদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ঘটনার কয়েক দিন আগেই বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জলসীমা সংক্রান্ত একটি গুরুতর ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলারে হামলার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশ নৌসেনার বিরুদ্ধে, যার জেরে ট্রলার ডুবে যায়। সেই ঘটনায় এখনও তিন জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ।

এই পরিস্থিতিতে ফের বাংলাদেশের ট্রলার আটকের ঘটনায় সীমান্ত জলসীমা নিয়ে উদ্বেগ ও নজরদারি আরও জোরদার হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

প্রশ্ন ১: কেন বাংলাদেশের ট্রলার আটক করা হয়েছে?
উত্তর: ভারতের জলসীমায় ঢুকে অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে ট্রলার দু’টি আটক করা হয়েছে।

প্রশ্ন ২: মোট কত জন মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়েছে?
উত্তর: মোট ৩৫ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়েছে।

প্রশ্ন ৩: আটক মৎস্যজীবীদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে?
উত্তর: তাঁদের দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রশ্ন ৪: কবে আদালতে হাজির করানো হবে?
উত্তর: বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।

প্রশ্ন ৫: এই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক অন্য ঘটনার কি কোনও যোগ রয়েছে?
উত্তর: সরাসরি যোগ না থাকলেও বঙ্গোপসাগরে সাম্প্রতিক উত্তেজনার আবহে এই ঘটনা ঘটেছে।