দিল্লির আকাশে যেন স্বস্তির কোনও ছোঁয়া নেই—দূষণের দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে এবার আরও কড়া নির্দেশ জারি করল দিল্লি সরকার। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে বুধবার প্রকাশিত নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও সংস্থাই ৫০ শতাংশের বেশি কর্মীকে অফিসে ডাকতে পারবে না।
নির্দেশ অনুযায়ী, বাকি কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। সরকারি ও বেসরকারি—দুই ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
রাজধানীর বায়ু পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বুধবার সকালে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ৩২৮, যা ‘খুব খারাপ’ শ্রেণির মধ্যে পড়ে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ৪০টি বায়ু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টিতেই পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ।
দূষণ মোকাবিলায় দিল্লি প্রশাসন শহরজুড়ে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান-৪ (GRAP-4) চালু করেছে। এর আওতায় রাজধানীতে সব ধরনের ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যদিও জরুরি পরিষেবার যানবাহন ছাড় পাচ্ছে।
এছাড়াও, সড়ক নির্মাণ-সহ সব ধরনের সরকারি নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রেও সতর্কতা—প্রাথমিক স্কুলের পাশাপাশি ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য হাইব্রিড পদ্ধতিতে ক্লাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে সাধারণ নাগরিকদের, বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর অনুরোধ করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন 1: নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী অফিসে কতজন কর্মী আসতে পারবেন?
উত্তর: সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্মী অফিসে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
প্রশ্ন 2: কোন কোন সংস্থার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য?
উত্তর: সরকারি ও বেসরকারি—সব সংস্থার জন্যই এই নির্দেশ কার্যকর।
প্রশ্ন 3: নিয়ম না মানলে কী শাস্তি হতে পারে?
উত্তর: নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রশ্ন 4: দিল্লিতে বর্তমানে AQI কত?
উত্তর: বুধবার সকালে দিল্লির AQI ছিল ৩২৮, যা ‘খুব খারাপ’ স্তরে রয়েছে।
প্রশ্ন 5: স্কুলগুলি কীভাবে চলবে?
উত্তর: প্রাথমিক থেকে ষষ্ঠ-একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত হাইব্রিড পদ্ধতিতে ক্লাস চলবে।

