হঠাৎ করেই বদলে যেতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনীতির হিসাব—কিন্তু সেই পথে হাঁটার আগে ইইউকে সাবধান করে দিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ২১০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের জব্দ করা সম্পদ স্থায়ীভাবে কাজে লাগানোর কথা ভাবছে। লক্ষ্য একটাই—ইউক্রেনকে আর্থিক ও সামরিকভাবে সহায়তা করা। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনই সবুজ সংকেত দিতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর এই সম্পদ জব্দ করা হয়। ইইউ মনে করে, এই যুদ্ধ তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ফলে ইউক্রেনকে টিকিয়ে রাখতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। ২০২৬ ও ২০২৭ সালে ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক ব্যয় মেটাতে প্রায় ১৬৫ বিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপে ইইউ।
এই পরিস্থিতিতে জব্দ করা রাশিয়ান নগদ অর্থ ব্যবহারের পরিকল্পনা সামনে আসে। কিন্তু বেলজিয়ামসহ কয়েকটি দেশের আপত্তিতে সিদ্ধান্ত আটকে যায়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বার্তা বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি হলো—রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো সমঝোতার পথে যেতে হলে এই সম্পদ এখনই ব্যবহার করা ঠিক হবে না। কারণ একদিকে আলোচনা, অন্যদিকে সম্পদ বাজেয়াপ্ত—দুটো একসঙ্গে চালানো কঠিন।
টাস্কের মতে, ওয়াশিংটন বিষয়টিকে কৌশলগত ও কিছুটা ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখছে। ফলে আপাতত ইইউর জন্য এই তহবিল ব্যবহার করা “অনেক দূরের পথ” বলেই মনে হচ্ছে।
প্রশ্ন ও উত্তর
1. ইইউ কেন রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহার করতে চায়?
ইউক্রেনকে যুদ্ধ ও পুনর্গঠনের জন্য অর্থ জোগাতে ইইউ এই সম্পদ ব্যবহারের কথা ভাবছে।
2. মোট কত অর্থ জব্দ করা হয়েছে?
প্রায় ২১০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের রাশিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ।
3. যুক্তরাষ্ট্র কেন আপত্তি জানাচ্ছে?
ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার সুযোগ নষ্ট হতে পারে—এই আশঙ্কায়।
4. ইইউ কি এখনই সিদ্ধান্ত নিতে পারছে?
না, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য না থাকায় সিদ্ধান্ত থমকে আছে।
5. ভবিষ্যতে এই অর্থ কীভাবে ব্যবহার হতে পারে?
যুদ্ধ শেষে ক্ষতিপূরণ বা ইউক্রেনের পুনর্গঠনে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

