বিশ্বকাপের আগে সময় দ্রুত ফুরোচ্ছে, আর ঠিক সেই মুহূর্তে ভারতের সামনে বড় সুযোগ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ জিতলেই সিরিজ পকেটে পুরে ফেলবে টিম ইন্ডিয়া।
আর মাত্র দু’মাস পরেই টি-২০ বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে নামার আগে ভারতীয় শিবিরে চিন্তা মূলত দুটো জায়গায়—ওপেনিংয়ে শুভমান গিলের রান না পাওয়া এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের দীর্ঘ অফ ফর্ম। বুধবার লখনউয়ে চতুর্থ ম্যাচের আগে কোচ গৌতম গম্ভীরের ভাবনায় এগুলিই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে আপাতত ২-১ এগিয়ে ভারত। একানা স্টেডিয়ামে জয় মানেই সিরিজ জয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। এই সফরেই তারা টেস্ট সিরিজে ভারতকে ২-০ হারিয়েছে, ওডিআই সিরিজ শেষ ম্যাচে হেরেছে, আর টি-২০তেও এক ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে। আইডেন মার্করামরা তাই সিরিজ ২-২ করার লক্ষ্যেই নামবে।
প্রোটিয়াদের সমস্যা অবশ্য ধারাবাহিকতা। গত বছরের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে এই ফরম্যাটে তাদের পারফরম্যান্স ওঠানামা করছে। একের পর এক পরিবর্তিত একাদশও সমস্যার কারণ। ডেভিড মিলারকে ফেরানো হবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
ভারতীয় দলে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। অক্ষর প্যাটেল ছিটকে যাওয়ায় শাহবাজ আহমেদ দলে এলেও প্রথম একাদশে তাঁর সুযোগ কম। বুমরাহর খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও হর্ষিত রানা ও অর্শদীপ সিংয়ের দাপটে বোলিং আক্রমণ বেশ আত্মবিশ্বাসী।
লখনউয়ের উইকেট ধরমশালার মতো পেস সহায়ক নয়। শিশির বড় ফ্যাক্টর হতে পারে, তাই টসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বেশি রানের ম্যাচ দেখার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রশ্ন ও উত্তর
আজ কোন ম্যাচে সিরিজ জিততে পারে ভারত?
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হবে।ভারতের প্রধান চিন্তার জায়গা কী?
শুভমান গিলের ফর্ম ও সূর্যকুমার যাদবের অফ ফর্ম।বুমরাহ কি খেলবেন?
তাঁর খেলা নিয়ে এখনও নিশ্চিত খবর নেই।দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তির জায়গা কী?
লড়াকু মানসিকতা ও অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার।লখনউয়ের পিচ কেমন হতে পারে?
তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক, শিশির বড় ফ্যাক্টর হতে পারে।

