ঘরে বসে এক ক্লিকে পছন্দের জিনিস অর্ডার—শুনতে যতটা সহজ, বাস্তবে ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। অনলাইনে কেনাকাটার সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে প্রতারণার ফাঁদও। তাই স্মার্ট শপিংয়ের আগে একটু সতর্ক হওয়াই বুদ্ধিমানের।
সবচেয়ে আগে খেয়াল রাখতে হবে আপনি কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কিনছেন। পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করাই নিরাপদ। নতুন বা অচেনা ওয়েবসাইটে কেনার আগে সেই প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, রেজিস্ট্রেশন এবং যোগাযোগের তথ্য যাচাই করা জরুরি।
কোনো পণ্য কেনার আগে সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ড ও প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে অনলাইনে খোঁজ নিন। গ্রাহক রিভিউ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মন্তব্য এবং রেটিং দেখলে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা বোঝা যায়।
অনলাইনে কেনাকাটার সময় অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা অতিরিক্ত গোপন তথ্য সাধারণ কেনাকাটার জন্য প্রয়োজন হয় না। এমন তথ্য চাইলে সতর্ক হন।
পেমেন্টের ক্ষেত্রে নিরাপদ পদ্ধতি বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাশ অন ডেলিভারি বা বিশ্বস্ত পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে লেনদেন করলে ঝুঁকি কমে। একই সঙ্গে পাবলিক বা ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন এড়িয়ে চলাই ভালো।
সচেতন থাকলে অনলাইনে কেনাকাটা হতে পারে সহজ, নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: অনলাইনে কেনাকাটার সময় সবচেয়ে বড় ঝুঁকি কী?
উত্তর: ভুয়া ওয়েবসাইট ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ বা তথ্য চুরি হওয়াই সবচেয়ে বড় ঝুঁকি।
প্রশ্ন ২: কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা নিরাপদ?
উত্তর: পরিচিত, দীর্ঘদিনের এবং ভালো গ্রাহক রিভিউ থাকা প্ল্যাটফর্ম নিরাপদ।
প্রশ্ন ৩: অনলাইনে কেনার সময় কোন তথ্য দেওয়া উচিত নয়?
উত্তর: জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা অতিরিক্ত গোপন ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া উচিত নয়।
প্রশ্ন ৪: কোন পেমেন্ট পদ্ধতি সবচেয়ে নিরাপদ?
উত্তর: ক্যাশ অন ডেলিভারি বা বিশ্বস্ত পেমেন্ট গেটওয়ে তুলনামূলক নিরাপদ।
প্রশ্ন ৫: পাবলিক ওয়াই-ফাই কেন ঝুঁকিপূর্ণ?
উত্তর: পাবলিক ওয়াই-ফাই সহজেই হ্যাক করা যায়, ফলে আর্থিক তথ্য চুরির আশঙ্কা থাকে।

