শীতকালে অ্যাজমা রোগীরা কেন বেশি সমস্যায় পড়েন

Published By: Khabar India Online | Published On:

শীতের হালকা পরশ পড়তেই অনেকের বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়—বিশেষ করে যাঁরা অ্যাজমায় ভোগেন। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাজমা বা হাঁপানির উপসর্গ বেড়ে যাওয়া একটি পরিচিত সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে, শীতকাল অ্যাজমা রোগীদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে যদি আগেভাগে সতর্ক না হওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে সংকুচিত করে ফেলে। ফলে বাইরে বেরোলেই শ্বাসকষ্ট, কাশি ও বুকের মধ্যে শোঁ শোঁ শব্দ শুরু হয়। এটিই শীতে অ্যাজমা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো শ্বাসনালীর সংক্রমণ। শীতকালে ফ্লু, সর্দি-কাশি ও ভাইরাল সংক্রমণের প্রকোপ বাড়ে। এই সংক্রমণ অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসনালীতে প্রদাহ বাড়িয়ে উপসর্গকে আরও তীব্র করে তোলে।

শীতকালে মানুষ ঘরের ভেতরে বেশি সময় কাটান। এর ফলে ইনডোর অ্যালার্জেন যেমন ঘরের ধুলা, পোষা প্রাণীর লোম এবং ছাঁচের সংস্পর্শে থাকার সময় বেড়ে যায়। এসব অ্যালার্জেন অ্যাজমার ট্রিগার হিসেবে কাজ করে।

এছাড়া শীতের সময় বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়াও অ্যাজমা বাড়ার একটি কারণ। শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে আরও সংবেদনশীল করে তোলে, যার ফলে হঠাৎ অ্যাজমার অ্যাটাক হতে পারে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ, শীত শুরুর আগেই নিয়মিত ওষুধ চালু রাখা, ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলা এবং সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি। সঠিক যত্ন নিলে শীতকালেও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

 প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: শীতে অ্যাজমা কেন বেশি বাড়ে?
উত্তর: ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস, সংক্রমণ এবং ইনডোর অ্যালার্জেনের কারণে শীতে অ্যাজমা বেড়ে যায়।

প্রশ্ন ২: শীতের বাতাস কীভাবে অ্যাজমাকে প্রভাবিত করে?
উত্তর: শীতের বাতাস শ্বাসনালী সংকুচিত করে শ্বাসকষ্ট বাড়ায়।

প্রশ্ন ৩: ইনডোর অ্যালার্জেন কী কী?
উত্তর: ঘরের ধুলা, পোষা প্রাণীর লোম ও ছাঁচ ইনডোর অ্যালার্জেনের মধ্যে পড়ে।

প্রশ্ন ৪: শীতে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে কী করা উচিত?
উত্তর: নিয়মিত ওষুধ, ঠান্ডা এড়ানো ও সংক্রমণ হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।

প্রশ্ন ৫: কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
উত্তর: শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে, কাশি বা জ্বর ১০১ ডিগ্রির বেশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।