মহারাষ্ট্রের লাতুরে ভয়াবহ রহস্য, জ্বলন্ত গাড়িতে মিলল তরুণের দগ্ধ দেহ

Published By: Khabar India Online | Published On:

ভোরের নীরবতা ভেঙে লাতুরে সামনে এল এক বিভীষিকাময় ছবি। রাস্তার ধারে পড়ে থাকা একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক তরুণের সম্পূর্ণ দগ্ধ দেহ, যা রাখা ছিল একটি বস্তার মধ্যে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণের নাম গণেশ চহ্বান। তিনি লাতুরের অউসা তন্ডা এলাকার বাসিন্দা এবং একটি ব্যাঙ্কে রিকভারি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। যে গাড়িটি পুড়ে গিয়েছে, সেটিও তাঁর নিজেরই ছিল।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গণেশকে প্রথমে বস্তার মধ্যে বন্দি করা হয়। এরপর তাঁকে গাড়ির ভিতর রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে স্পষ্ট যে এটি দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

রবিবার সকাল থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গণেশের। ফোন বন্ধ থাকায় উদ্বিগ্ন পরিবার থানায় খবর দেয়। এরপর তল্লাশি চালাতেই পুড়ে যাওয়া গাড়ি ও দেহের সন্ধান পায় পুলিশ।

এই ঘটনায় খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে। কী কারণে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত শত্রুতার দিকটি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ নমুনা সংগ্রহ করেছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসতে পারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

১. ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?
মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

২. মৃত ব্যক্তির পরিচয় কী?
মৃত তরুণের নাম গণেশ চহ্বান, তিনি একজন ব্যাঙ্ক রিকভারি এজেন্ট ছিলেন।

৩. এটি দুর্ঘটনা না খুন?
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, এটি পরিকল্পিত খুন।

৪. অভিযুক্তরা কি ধরা পড়েছে?
এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

৫. পুলিশ কীভাবে তদন্ত করছে?
সিসিটিভি ফুটেজ, ফরেন্সিক রিপোর্ট ও ব্যক্তিগত শত্রুতার দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।