বিশ্বকাপ মানেই উত্তেজনা, আবেগ আর ফুটবল–উৎসব। কিন্তু সেই আনন্দের মাঝেই বড় প্রশ্ন তুলে দিল টিকিটের দাম। ২০২৬ বিশ্বকাপের তৃতীয় ধাপের টিকিট বিক্রি শুরু হতেই ফিফা পড়েছে তীব্র সমালোচনার মুখে।
সূচি, আয়োজক শহর ও গ্রুপ ঘোষণার পর প্রকাশিত টিকিটের মূল্য অনেক ভক্তের কাছেই অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিটের দাম ঘিরে ক্ষোভ চরমে। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ফাইনালের শীর্ষ ক্যাটাগরির একটি টিকিটের দাম রাখা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ডলার, যা আগের বিশ্বকাপগুলোর তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
এবার এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। তিনি মনে করছেন, এমন দামে সাধারণ সমর্থকদের মাঠে গিয়ে খেলা দেখা কঠিন হয়ে যাবে।
এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মামদানি ফিফার ডায়নামিক প্রাইসিং পদ্ধতির কড়া সমালোচনা করেন। চাহিদা ও সময়ের ওপর ভিত্তি করে টিকিটের দাম বাড়ানোকে তিনি অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ছাড়ের দাবি জানান তিনি।
মামদানি বলেন, নিউইয়র্ক এমনিতেই বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলোর একটি। তার ওপর বিশ্বকাপের মতো আয়োজন হলে মানুষের আগ্রহ আকাশচুম্বী হয়। কিন্তু অতিরিক্ত দাম সমর্থকদের স্টেডিয়াম থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। কাতার ২০২২ ও রাশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপের উদাহরণ টেনে তিনি জানান, সেসব আসরে নির্দিষ্ট দামে টিকিট ও স্থানীয়দের জন্য সুবিধা ছিল।
বিশ্বকাপকে শুধুমাত্র টিভি পর্দার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না নিউইয়র্কের মেয়র। তাঁর মতে, যত বেশি সম্ভব স্থানীয় মানুষ যেন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারেন, সেটাই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: ২০২৬ বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিটের দাম কত?
উত্তর: শীর্ষ ক্যাটাগরির একটি টিকিটের দাম প্রায় ৯ হাজার ডলার।
প্রশ্ন ২: টিকিটের দাম নিয়ে কে আপত্তি তুলেছেন?
উত্তর: নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি।
প্রশ্ন ৩: ফিফার কোন পদ্ধতির সমালোচনা করা হচ্ছে?
উত্তর: ডায়নামিক প্রাইসিং বা চাহিদাভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ।
প্রশ্ন ৪: মেয়র কী ধরনের পরিবর্তন চান?
উত্তর: নির্দিষ্ট টিকিট মূল্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ছাড়।
প্রশ্ন ৫: মেয়রের মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর: বেশি সংখ্যক নিউইয়র্কবাসী যেন স্টেডিয়ামে বসে বিশ্বকাপ উপভোগ করতে পারেন।

