অপ্রত্যাশিত উত্তেজনার ছায়া যেন আবার ইউরোপকে ঘিরে ধরছে—এমনই সংকেত দিলেন ন্যাটো সাধারণ সম্পাদক মার্ক রুটে। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রাশিয়া আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই জোটের বিরুদ্ধে বড়সড় সামরিক হামলার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
বার্লিনে এক বক্তৃতায় রুটে বলেন, রাশিয়া effectively ইউরোপে যুদ্ধ ফিরিয়ে এনেছে, আর তাই মহাদেশটিকে অতীতের মতো বড় সংঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তার মতে, ন্যাটোর সামরিক ব্যয় জিডিপির ৫ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা ভালো উদ্যোগ হলেও এখনই যুদ্ধকালীন মানসিকতা ও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
রুটে আরও সতর্ক করে বলেন, রাশিয়ার সামরিক শক্তি এখন অর্থনীতি ও চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে তাদের হামলার সক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে। ইউক্রেন যুদ্ধে বিপুল রুশ সেনা হতাহতের পরও প্রেসিডেন্ট পুতিন পিছু হটছেন না—এটাই প্রমাণ করে পরিস্থিতির ভয়াবহতা।
তিনি জানান, রাশিয়ার ব্যবহৃত প্রায় ৮০ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক উপাদান চীনে তৈরি। তাই ইউক্রেনের কিয়েভ বা খারকিভে যখন বেসামরিক মানুষ নিহত হচ্ছে, সেই হত্যাযজ্ঞে চীনা প্রযুক্তিও পরোক্ষভাবে যুক্ত।
রুটে শেষবারের মতো ইউরোপকে সতর্ক করে বলেন—এখন অলসতার কোনো সুযোগ নেই। রাশিয়ার বাড়তে থাকা হুমকি মোকাবিলায় অবিলম্বে প্রস্তুতি নিতে হবে, নইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
১. ন্যাটো প্রধান কেন বড়সড় যুদ্ধের সতর্কবার্তা দিয়েছেন?
রাশিয়া আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ন্যাটোর বিরুদ্ধে হামলার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
২. কোন কারণে রাশিয়ার সামরিক শক্তি দ্রুত বাড়ছে?
চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও রাশিয়ার অর্থনৈতিক সক্ষমতা এই শক্তি বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
৩. ইউক্রেন যুদ্ধে কী পরিমাণ রুশ সেনা নিহত হয়েছে?
রুটের দাবি অনুযায়ী, পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের পর থেকে এক মিলিয়নের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
৪. রাশিয়ান অস্ত্রে চীনের ভূমিকা কী?
রাশিয়ার ড্রোনসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক যন্ত্রে ব্যবহৃত ৮০% ইলেকট্রনিক উপাদান চীনে তৈরি।
৫. ইউরোপের জন্য রুটে কী ধরনের প্রস্তুতির কথা বলেছেন?
তিনি বলেছেন, যুদ্ধকালীন মানসিকতা নিয়ে সামরিক প্রস্তুতি বাড়াতে হবে এবং অলসতা দূর করতে হবে।

