বেঙ্গালুরুর ব্যস্ত শহরে ঘটল এমন এক ঘটনা, যা পুলিশ-প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ—সবাইকে অবাক করে দিল। ঘাড়ে আঁচড়ের দাগ লুকোতে প্রেমিকের সন্দেহ এড়াতে এক নার্সিং পড়ুয়া তরুণী ভুয়ো গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন ট্যাক্সি চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে। আর তদন্তে নেমেই আসল সত্য সামনে এল পুলিশের।
২২ বছরের ওই তরুণী কেরলের বাসিন্দা। ৬ ডিসেম্বর থানায় গিয়ে তিনি দাবি করেন, স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া টার্মিনালের কাছে তাঁকে ট্যাক্সি চালক এবং তার সহকারী মিলে গণধর্ষণ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে সিসিটিভি ফুটেজ, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটসহ নানা তথ্য খতিয়ে দেখে।
সিসিটিভি ফুটেজেই দেখা যায়, সেদিন রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত তরুণী ও ট্যাক্সি চালক স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে সহকারীকে কোথাও দেখা যায়নি। তদন্তে উঠে আসে, দু’জনেরই পূর্বপরিচয় ছিল এবং পারস্পরিক সম্মতিতে তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
তরুণীর ঘাড়ে থাকা আঁচড়ের দাগ নিয়ে প্রেমিক সন্দেহ করতে পারেন—এই ভয় থেকেই তিনি তৈরি করেন গণধর্ষণের ‘গল্প’। জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য নিজেই স্বীকার করেন তিনি। অন্যদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৩ বছর বয়সি ট্যাক্সি চালক দাবি করেছেন, তিনিও কেরলের বাসিন্দা এবং তরুণীর পুরনো পরিচিত। ভোরে তিনিই তাকে স্টেশনে পৌঁছে দেন।
ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত এখনও চলছে, এবং চালক পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
এছাড়াও, কয়েকদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে ঘটেছিল আরেক মর্মান্তিক ঘটনা—১৩৭ বছরের এক কিশোরীর ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত এক তরুণ আত্মহত্যা করেন। অভিযোগকে মিথ্যে দাবি করে নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
1. তরুণী কেন ভুয়ো গণধর্ষণের অভিযোগ করেন?
প্রেমিকের সন্দেহ এড়াতে ঘাড়ের আঁচড়ের দাগ লুকোতেই তিনি এই গল্প তৈরি করেন।
2. পুলিশ কীভাবে সত্যটা জানতে পারে?
সিসিটিভি ফুটেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বিশ্লেষণ করে ঘটনাটি ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়।
3. ট্যাক্সি চালক কি সত্যিই জড়িত ছিলেন?
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, তিনি নির্দোষ এবং ঘটনাস্থলে সহকারী উপস্থিতই ছিলেন না।
4. তরুণী ও চালকের মধ্যে কি সম্পর্ক ছিল?
হ্যাঁ, দু’জনের পূর্বপরিচয় ছিল এবং পারস্পরিক সম্মতিতে ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল।
5. তদন্ত কি এখনও চলছে?
হ্যাঁ, পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

