কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে মঙ্গলবারের জনসভায় এক ঝড়ো বার্তায় আবারও তীব্র রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বাংলার উন্নয়ন, কেন্দ্র–রাজ্য সম্পর্ক এবং ১০০ দিনের কাজের বকেয়া—সব মিলিয়ে মঞ্চে তৈরি হল বিস্ফোরক আবহ।
মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি অভিযোগ তুললেন, কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার ভোটের আগে টাকা বিলিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। তাঁর কথায়, মানুষের ভালবাসা অর্জন করে তৃণমূল ভোটে জেতে, টাকার জোরে নয়। বিহারের ভোটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বিজেপি টাকা বিলিয়ে ভোট কিনেছে।”
এরপর কেন্দ্রে অর্থ আটকে রাখার অভিযোগে আরও তীব্র সুরে বলেন তিনি। “১০০ দিনের কাজ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। আমরা কাজ করি, আর ওরা ভোট নেয়,”—এভাবেই তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি দিল্লিতে রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘অসম্মানজনক আচরণ’-এর অভিযোগও শোনালেন।
মমতার দাবি, তদন্তের নামে কেন্দ্র ১৮৬টি টিম পাঠিয়েছে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে। তিনি স্পষ্ট জানান, দু’মাসে কোনও প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য অন্য কিছু। “বাংলার মাথা কখনও নত হয়নি”—এভাবেই আত্মবিশ্বাসী বার্তা দেন তিনি।
মঞ্চ থেকে আরও বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী—১০০ দিনের কাজের বকেয়া কেন্দ্র না দিলেও রাজ্য সরকারই সেই টাকা দেবে। বক্তব্যের মাঝেই দিল্লি থেকে পাঠানো এক কাগজ ছিঁড়ে ফেলে তিনি বলেন, “এই চিঠির কোনও মূল্য নেই, বাংলাকে অপমান করে পাঠানো হয়েছে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের আগে এই বার্তা কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাতকে আরও তীব্রতা দেবে এবং তৃণমূলের প্রচারে বাড়তি গতি আনবে।
১. মুখ্যমন্ত্রী কেন কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন?
১০০ দিনের কাজের অর্থ বন্ধ রাখা ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগে তিনি কেন্দ্রকে নিশানা করেন।
২. ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী ঘোষণা করেছেন?
তিনি জানান, কেন্দ্র টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার নিজেই বকেয়া প্রদান করবে।
৩. মমতা ব্যানার্জি কেন দিল্লির চিঠি ছিঁড়ে ফেললেন?
তাঁর দাবি, সেই চিঠি বাংলাকে অপমান করে পাঠানো হয়েছিল।
৪. ১৮৬টি কেন্দ্রীয় টিম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ কী?
তদন্ত নয়, রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করাই মূল উদ্দেশ্য—এমনটাই দাবি তাঁর।
৫. রাজনৈতিক মহল কী বলছে এই জনসভা সম্পর্কে?
তাদের মতে, ভোটের আগে কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাতের সুর আরও চড়ালো তৃণমূল।

