কারাগারের নীরব দেয়াল হঠাৎই যেন আরও ভারী হয়ে উঠেছে—হঠাৎ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সব ধরনের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি থাকা ইমরানকে এখন আর কোনো দর্শনার্থী দেখতে পারবেন না।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। তিনি ইমরান খানকে ‘যুদ্ধ-উন্মাদনায় মগ্ন চরমপন্থি’ বলে অভিহিত করেন এবং নিরাপত্তার স্বার্থেই সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেন। এর ঠিক আগে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইমরানকে ‘মানসিক রোগী’ ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী জিও টিভির এক অনুষ্ঠানে বলেন, “কয়েদিদের সাক্ষাৎ সরকারের নির্ধারিত নিয়মেই হয়। এখন সেই নিয়ম সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। কোনো সাক্ষাৎ অনুমোদনযোগ্য নয়।” তিনি আরও সতর্ক করেন, কেউ জোর করে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে নতুন প্রশ্ন উঠেছে। কারণ মাত্র দুই দিন আগে ইমরানের বোন উজমা খান তাকে দেখতে পেরেছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে তিনি দাবি করেন, সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ইমরান ‘ক্ষুব্ধ’।
৭৩ বছর বয়সী ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দি। গত কয়েক সপ্তাহ তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে না পারায় পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। সমালোচনার মুখে তার বোনকে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হলেও নতুন সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি আবারও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
1. কেন ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করা হলো?
সরকারের দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে সাক্ষাৎ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
2. এই নিষেধাজ্ঞা কি স্থায়ী?
না, এটি সাময়িক। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
3. ইমরানের পরিবার কি এখন তাকে দেখা করতে পারবে?
বর্তমানে কেউই—পরিবারসহ—সাক্ষাৎ করতে পারবে না।
4. নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পিটিআই-এর প্রতিক্রিয়া কী?
পিটিআই এ সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক দাবি করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
5. ইমরান খান কতদিন ধরে কারাগারে আছেন?
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে তিনি কারাবন্দি।

