RBI-র বড় সিদ্ধান্ত, টাকার পতনের মাঝেই নতুন লিকুইডিটি প্যাকেজে বাজারে স্বস্তির হাওয়া

Published By: Khabar India Online | Published On:

 টাকা যখন রেকর্ড নিম্নস্তরে, ঠিক সেই সময়েই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দুঃসাহসী সিদ্ধান্ত বাজারে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে। ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমানো, ১ লক্ষ কোটি টাকার OMO, এবং ৫ বিলিয়ন ডলারের বাই-সেল সুয়াপ—এই তিন অস্ত্রেই RBI এখন বাজারের অস্থিরতা ঠেকাতে চাইছে।

গত সপ্তাহের তীব্র চাপে টাকা নাজেহাল হলেও, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বার্তা স্পষ্ট—এটি আতঙ্কের পরিস্থিতি নয়, বরং কাঠামোগত স্থিতির মধ্যে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা। বড় আকারের OMO বাজারে বিপুল তারল্য আনে, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় অর্থের জোগান বাড়ে এবং সুদের হার নরম হয়। এই সংকেতেই বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারেন যে অর্থায়নের ব্যবস্থা মসৃণ থাকবে।

অন্যদিকে, ৫ বিলিয়ন ডলারের বাই-সেল সুয়াপ মুদ্রা বাজারে তাৎক্ষণিক চাপ কমায়। RBI এখন ডলার কিনে ভবিষ্যতে তা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, ফলে রিজার্ভ কমছে না, কিন্তু বাজারে টাকার পরিমাণ বাড়ছে। এতে বাজারে আস্থা জোরদার হয়—RBI যেকোনো সময় হস্তক্ষেপ করতে প্রস্তুত।

মুদ্রাস্ফীতি বহু বছরের নিম্নস্তরে নেমে আসায় সুদ কমাতে বাধা ছিল না। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, টাকা এখন বাস্তব মানের চেয়ে অনেকটাই আন্ডারভ্যালুয়েড, তাই সাময়িক পতনকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে না RBI। তাদের লক্ষ্য—বাজারে বিশৃঙ্খলা রোধ করা, পতন নয়।

তবে বড় প্রশ্ন এখনও রয়ে যায়—এত জোগান কি রুপিকে শক্তিশালী করতে পারবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, লিকুইডিটি বাড়ালে টাকা তৎক্ষণাৎ চাঙ্গা হয় না, বরং পতনের গতি কমে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার ছাড়তে চান না, কারণ অর্থায়ন মসৃণ থাকলে অস্থিরতা কমে যায়।

শেষ পর্যন্ত ছবিটা নির্ভর করবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের ওপর—মার্কিন সুদের হার, ভূরাজনৈতিক চাপ এবং মূলধনের প্রবাহই দিক ঠিক করবে। RBI শুধু অস্থিরতা সামলাতে পারে, বাহ্যিক ঝড় পুরোপুরি আটকানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

মুদ্রাস্ফীতি কমে যাওয়া এখন RBI-র হাতে এক বিরল সুযোগ তুলে দিয়েছে—বৃদ্ধিকে সমর্থন করা এবং একই সঙ্গে টাকার স্থিতি বজায় রাখা। তবে টাকা ঘুরে দাঁড়াবে কি না, তা বলবে আগামী দিনের বাজার।

১. RBI কেন এখন লিকুইডিটি বাড়াল?
বাজারের অস্থিরতা কমানো ও অর্থায়ন স্বাভাবিক রাখতে RBI বড় আকারের জোগান দিয়েছে।

২. OMO কীভাবে প্রভাব ফেলে?
RBI সরকারি বন্ড কিনলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় সরাসরি টাকা ঢোকে, ফলে তারল্য বাড়ে।

৩. বাই-সেল সুয়াপের সুবিধা কী?
রিজার্ভ না কমিয়ে বাজারে টাকা বাড়ায় এবং মুদ্রার তাত্ক্ষণিক চাপ কমায়।

৪. সুদের হার কমালে রুপি দুর্বল হয় কি?
অল্পমেয়াদে চাপ বাড়তে পারে, তবে RBI-র মতে বর্তমান পতন অতিরঞ্জিত।

৫. রুপির ভবিষ্যৎ কোন বিষয়ে নির্ভর করছে?
মার্কিন সুদনীতি, বৈশ্বিক বাজারচাপ ও মূলধনের প্রবাহই মূল নির্ধারক।