সন্ত্রাসের মূলে পাকিস্তান আর্মি, কঠোর সতর্কবার্তা দিলেন এস জয়শঙ্কর

Published By: Khabar India Online | Published On:

উপমহাদেশের নিরাপত্তা-সমীকরণে এক অদৃশ্য ছায়া বহু বছর ধরেই ঘনীভূত— আর সেই ছায়ার উৎস পাকিস্তান সেনাবাহিনীই বলে স্পষ্ট মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর মতে, সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ, সবকিছুর মূল কেন্দ্র পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই লুকিয়ে আছে।

এক আলোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে আদর্শগত বিদ্বেষ, জঙ্গি শিবির পরিচালনা ও সন্ত্রাস রপ্তানির নেপথ্যে পাকিস্তান আর্মিই প্রধান শক্তি। তাঁর কথায়, দেশটির নীতি ও আচরণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা রাজনৈতিক নেতৃত্বের চেয়েও অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে।

বিদেশমন্ত্রী আরও জানান, সামরিক সক্ষমতা, অর্থনৈতিক অবস্থান ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার বিচারে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিপুল ব্যবধান রয়েছে। তাই তুলনামূলক মানসিকতায় আটকে থাকলে বাস্তব মূল্যায়ন সম্ভব নয় বলেও তিনি সতর্ক করেন।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির প্রসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যেমন ‘ভাল’ ও ‘খারাপ’ জঙ্গির বিভাজন করা হয়, তেমনই সামরিক নেতৃত্বের মধ্যেও ‘কেউ ভালো, কেউ ভালো নয়’— এমন বাস্তবতা থাকে। এই বক্তব্যে তিনি পরোক্ষভাবে পাকিস্তান আর্মির অবস্থানকেই প্রশ্নের মুখে তোলেন।

অপারেশন সিন্দুর প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর জানান, ভারতের প্রতিটি সামরিক সিদ্ধান্ত নির্দিষ্ট নিয়ম, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নেওয়া হয়। তাঁর মতে, ভারত যা করে তা জনগণ, সংবাদমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের কাছে দায়বদ্ধ; ফলে দুই দেশের ব্যবস্থাকে এক কাঠগড়ায় দাঁড় করানো অযৌক্তিক।

গত মে মাসে পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত যে অপারেশন সিন্দুর চালায়, তাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ মোট ৯টি কেন্দ্রে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। সরকারি সূত্রের দাবি, অন্তত ৭০ জন জঙ্গি এতে নিহত হয়। পাকিস্তান পাল্টা নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে নির্বিচারে গুলি চালায়, ফলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছোয়। পরে ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

জয়শঙ্করের বক্তব্যে স্পষ্ট— ভারত সংযম ও দায়িত্বশীলতার পথেই আস্থা রাখে, কিন্তু সন্ত্রাসবাদ ও সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও আপস নয়। নীতিনির্ধারকদের মতে, এই চ্যালেঞ্জের কেন্দ্রে রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী— যা দীর্ঘকাল ধরেই ভারতের নিরাপত্তা-ঝুঁকির মূল উৎস।

১. জয়শঙ্কর কেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দায়ী করলেন?
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও ভারতবিরোধী কার্যকলাপের মূল উৎসই পাকিস্তান আর্মি।

২. ভারত-পাক সামরিক তুলনা নিয়ে জয়শঙ্করের মন্তব্য কী?
তিনি জানান, দুই দেশের সামরিক ক্ষমতা ও অবস্থানে আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে।

৩. অপারেশন সিন্দুর কী ছিল?
পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান।

৪. পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
ভারতের অভিযোগ— তারা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে।

৫. ভবিষ্যতে শান্তির সম্ভাবনা কী?
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হলেও স্থায়ী শান্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।