ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আরও দৃঢ়, ২০৩০ পর্যন্ত অর্থনৈতিক বিস্তারের পথে মোদী-পুতিন

Published By: Khabar India Online | Published On:

দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে যেন খুলে গেল নতুন দিগন্ত। দিল্লিতে বৈঠকে বসে ভারত ও রাশিয়া ঘোষণা করল ২০৩০ সাল পর্যন্ত কৌশলগত অর্থনৈতিক বিস্তারের এক দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই আলোচনা দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে আরও মজবুত করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। India-Russia Relationship এভাবে নতুন উচ্চতায় পৌঁছনোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মোদী জানান, রাশিয়ার নাগরিকদের জন্য ভারত খুব শীঘ্রই বিনামূল্যে ৩০ দিনের ই-ট্যুরিস্ট ভিসা এবং গ্রুপ ভিসা চালু করবে। তাঁর কথায়, এতে দুই দেশের মানুষ আরও বেশি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন এবং পর্যটন শিল্পও উপকৃত হবে।

এছাড়াও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পেশাগত প্রশিক্ষণে ভারত ও রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের যুব সমাজের সুযোগ বাড়ানোই এই সহযোগিতার লক্ষ্য।

শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে রাজঘাটে শ্রদ্ধা নিবেদন—ঘনিষ্ঠ পরিবেশেই দুটি দেশের নেতাদের সফরসূচি এগিয়েছে। হায়দরাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া শীর্ষবৈঠক যেন দুই দেশের আস্থাকে আরও দৃঢ় করে দিল।

1. ভারত-রাশিয়ার নতুন অর্থনৈতিক চুক্তির মূল লক্ষ্য কী?
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও কৌশলগত অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

2. রাশিয়ার পর্যটকদের জন্য ভারত কী সুবিধা ঘোষণা করেছে?
বিনামূল্যে ৩০ দিনের ই-ট্যুরিস্ট ভিসা এবং গ্রুপ ট্যুরিস্ট ভিসা শীঘ্রই চালু করবে।

3. শিক্ষা ক্ষেত্রে কোন সহযোগিতা বাড়ছে?
বৃত্তিমূলক শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

4. মোদী-পুতিন বৈঠক কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া শীর্ষবৈঠক হয়।

5. এই বৈঠকের পর কোন খাত সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে?
অর্থনীতি, পর্যটন, শিক্ষা এবং ক্রীড়া খাতে উন্নতির সম্ভাবনা বেশি।