ঘরে তেলাপোকা দূর করার সেরা ঘরোয়া কৌশল, জানুন সহজ সমাধান

Published By: Khabar India Online | Published On:

রান্নাঘরের লাইট নিভলেই তেলাপোকার আনাগোনা যেন হঠাৎ বেড়ে যায়—আর এ দৃশ্য যে কতটা বিরক্তিকর তা সবারই জানা। তবে সুখবর হলো, কীটনাশক ব্যবহার না করেও ঘরকে তেলাপোকার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব খুব সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে।

তেলাপোকা দূর করার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রথম পদক্ষেপ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। প্রতিদিন রান্নাঘর এবং সিঙ্ক ভালোভাবে পরিষ্কার রাখুন। রাতে ব্যবহৃত বাসন ফেলে না রেখে ধুয়ে রাখুন এবং খাবার কখনোই খোলা অবস্থায় রাখবেন না। ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন ব্যবহার করা অভ্যাসে নিয়ে আসলে উপদ্রব অনেকটাই কমে যায়।

এরপর ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা ও চিনি। সমপরিমাণে মিশিয়ে তেলাপোকা বেশি থাকে এমন স্থানে ছড়িয়ে দিন। মিষ্টির গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে তেলাপোকা এটি খেয়ে ফেলে এবং কয়েকদিনের মধ্যেই উপদ্রব কমতে শুরু করে।

তেজপাতা ও নিমপাতাও তেলাপোকা তাড়াতে বেশ কার্যকর। আলমারি কিংবা সিঙ্কের নিচে শুকনো তেজপাতা রেখে দিন। এছাড়া জলের সাথে অল্প নিমতেল মিশিয়ে স্প্রে করলে তেলাপোকার সংখ্যা দ্রুত কমে। নিমের গুঁড়ো জলেও মিশিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া যায়।

কিছু ক্ষেত্রে গোলমরিচ, পেঁয়াজ ও রসুনের মিশ্রণও উল্লেখযোগ্য কাজ করে। আধা কাপ করে তিনটি উপাদান মিশিয়ে ১ লিটার জলেতে পাতলা করে ছিটিয়ে দিন চলাচলের স্থানে। এর তীব্র গন্ধ তেলাপোকাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

যদি ঘরে তেলাপোকা খুব বেশি থাকে, তবে ন্যাপথলিন ব্যবহার করেও উপদ্রব কমানো যায়। তেলাপোকা এর গন্ধ খুব কম সহ্য করতে পারে।

আরও একটি জনপ্রিয় উপায় হলো বোরাক্স ও চিনির মিশ্রণ। রাতে ঘুমানোর আগে তেলাপোকার চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন। কয়েকদিন ব্যবহার করলে স্পষ্ট ফল পাওয়া যায়।

এই সহজ কিছু ঘরোয়া টিপস নিয়মিত মেনে চললে তেলাপোকার উপদ্রব অনেকটাই কমে যাবে এবং ঘর থাকবে পরিষ্কার, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত।

১. ঘরে তেলাপোকা কেন বেশি দেখা যায়?
আবর্জনা, আর্দ্রতা এবং খাবারের অবশিষ্টাংশ তেলাপোকা আকর্ষণ করে।

২. বেকিং সোডা ও চিনি কতদিন ব্যবহার করলে ফল পাওয়া যায়?
সাধারণত ২–৩ দিনের মধ্যেই পরিবর্তন দেখা যায়।

৩. নিমতেল কি শিশুদের জন্য নিরাপদ?
হ্যাঁ, পরিমিত ব্যবহার নিরাপদ তবে সরাসরি স্পর্শ এড়ানো ভালো।

৪. তেজপাতা কি তেলাপোকা মেরে ফেলে?
না, তবে গন্ধে তেলাপোকা দূরে থাকে।

৫. বোরাক্স কি যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যায়?
রান্নাঘর ও সিঙ্কের নিচে ব্যবহার করা যায়, তবে খাবারের সংস্পর্শে না আনা ভালো।