বিয়ের ঘণ্টা বাজতেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়। সমান্থা রুথ প্রভু ও রাজ নিদিমোরুর দ্বিতীয় বিয়ের পরেই তীব্র আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন পরিচালকের প্রাক্তন স্ত্রী শ্যামলী দে।
১ ডিসেম্বর বিয়ের পরদিনই নবদম্পতি মধুচন্দ্রিমায় পাড়ি দিয়েছেন। কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যেই শ্যামলীর একাধিক পোস্ট নতুন করে চর্চা বাড়িয়েছে। শোনা যায়, বিচ্ছেদের আগেই নাকি সমান্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন রাজ—যদিও রাজের পরিবার স্পষ্টভাবে সমান্থার পক্ষেই দাঁড়িয়েছে।
এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্যামলী লিখেছেন, তিনি কয়েক দিন ধরেই ঘুমোতে পারছেন না। অনেকে তাঁর মানসিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় তিনি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন—এই মুহূর্তে কোনও সাক্ষাৎকার দিতে চান না।
আরও কঠোরভাবে তিনি যোগ করেন, ‘‘আমার কোনও জনসংযোগ আধিকারিক নেই, আমার পেজ আমিই সামলাই।’’
তিনি জানান, তাঁর দীক্ষাগুরুর ক্যানসার ধরা পড়েছে, এবং সেই মারণরোগ শরীরের বহু জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাই তাঁর মনোযোগ এখন একমাত্র গুরুদেবের চিকিৎসার দিকেই। তাঁর ভাষায়, ‘‘যাঁরা নাটক বা কাদা ছোড়াছুড়ি খুঁজছেন, তাঁরা করতে পারেন। কিন্তু আমি কাউকে প্রচার করতে, সাক্ষাৎকার দিতে বা কারও সহানুভূতি চাইতে রাজি নই।’’
এই বার্তায় স্পষ্ট—সমান্থা-রাজের বিয়েকে ঘিরে যত বিতর্কই তৈরি হোক, শ্যামলী বর্তমানে নিজের ব্যক্তিগত লড়াইয়েই বেশি মনোযোগ দিতে চান।
1. সমান্থা ও রাজ কবে বিয়ে করেছেন?
১ ডিসেম্বর তাঁদের দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে সম্পন্ন হয়।
2. শ্যামলী কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার মন্তব্য করছেন?
বিয়ের পর থেকে ব্যক্তিগত মানসিক চাপ ও পরিস্থিতি নিয়ে তিনি খোলামেলা পোস্ট করছেন।
3. রাজের পরিবার কাকে সমর্থন করছে?
তথ্য অনুযায়ী, রাজের পরিবার সমান্থার পাশে দাঁড়িয়েছে।
4. শ্যামলী কেন সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকার করেছেন?
তিনি বর্তমানে নিজের গুরুদেবের চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত পরিস্থিতি সামলাতে ব্যস্ত।
5. শ্যামলীর নতুন পোস্টে মূল বার্তা কী?
তিনি কোনও নাটক, বিতর্ক বা সহানুভূতি চান না—নিজের লড়াইয়ে মনোযোগ দিতে চান।

