উত্তেজনার আঁচ ফের ছড়াল কলকাতার সিইও দফতরের সামনে। সকালে শুরু হওয়া শান্ত বিক্ষোভ মুহূর্তে রূপ নিল ধাক্কাধাক্কি আর উত্তাপে, যখন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যরা তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি সামনে এনে ব্যারিকেড পেরোতে উদ্যত হন। মৃত বিএলওদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও চাকরির দাবিই ছিল এ দিনের মূল সুর।
গত কয়েক দিন ধরেই সিইও দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছে তৃণমূলপন্থী এই সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার সকালেও হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান, আর অভিযোগ– অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করে জোর করে ডেটা এন্ট্রির কাজ করানো হচ্ছে বিএলওদের দিয়ে। এসআইআর-এর কাজের সময় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবার দাবি করছেন, অতিরিক্ত কাজের চাপই মৃত্যু ডেকে এনেছে।
এ দিন আচমকাই কয়েক জন বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ঠেলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দিতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি কিছু সময়ের জন্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় এলাকাজুড়ে।
এই ঘটনার আগে সোমবারও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল একই জায়গায়, যখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিইও মনোজকুমার আগরওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতে পৌঁছলে বিক্ষোভকারীরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগানে তাঁকে লক্ষ্য করে প্রতিবাদ জানান। বৃহস্পতিবার ফের সেই উত্তাপ নতুন করে দেখা দিল পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মুহূর্তে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি একই—মৃত বিএলওদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ও চাকরির নিশ্চয়তা। সিইও দফতর এখনও এ নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
1. কেন বিক্ষোভ করছিলেন বিএলও কমিটির সদস্যরা?
মৃত বিএলওদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দেওয়ার দাবি জানাতে।
2. কোন ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়?
ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টায় পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হওয়ায়।
3. ডেটা এন্ট্রি নিয়ে কেন ক্ষোভ?
বিক্ষোভকারীদের দাবি, জোর করে অতিরিক্ত ডেটা এন্ট্রির কাজ চাপানো হচ্ছে।
4. সোমবার কী ঘটেছিল?
শুভেন্দু অধিকারী সিইও দফতরে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ ও স্লোগান শুরু হয়।
5. সিইও দফতর কি কোনও প্রতিক্রিয়া দিয়েছে?
এই মুহূর্তে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

