শুরুতেই ভয় — শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চলসহ দেশজুড়ে দিতওয়ার ঘূর্ণিঝড় এসে বয়ে দিয়েছে এমন তাণ্ডব, যে ভয়ানক বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ৪১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিথর, কাদা আর ধ্বংসস্তূপ — যেটা আগে গড় ছিল তার চেয়ে পুরোপুরি বদলে গিয়েছে।
এই ভয়ঙ্কর ঝড় ও ভারি বৃষ্টিতে একদিকে যেমন বহু বাড়ি ও বাড়ির মাথার উপরে পাহাড়ি ঢাল গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি ভূমিধসে বহু পরিবার এখন নিখোঁজ। খবর — কমপক্ষে ৩৩৬ জন এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
একজন গ্রামের বাসিন্দা, যার তিন বছরের একটি শিশু সন্তান ছিল, ভয় পেয়ে একটি চাদর নিয়ে ভেঙে পড়া বাড়ি থেকে কাদার মধ্য দিয়ে দৌড়ে পালানোর বর্ণনা দিয়েছেন। শত-শত মানুষ ধসে পড়ে রাস্তায়, আবার কেউ কেউ অন্তত ১৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই পেয়েছেন।
দেশজুড়ে প্রায় ১২ লাখ মানুষ প্রভাবিত হয়েছে। ধ্বংসের চিহ্ন — কাদা, গাছের ভাঙ্গন, ভেঙে পড়া পাথর — যেখানে যেখানে ভূমিধস হয়েছে, সেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার এবং উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
সরকারি কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, এমন ভয়াবহ দুর্যোগের পর জরুরি চিকিৎসা, আশ্রয়, খোলা জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ পুনরুদ্ধার — এগুলোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে।
Q1: দিতওয়ার ঝড় কী?
A1: দিতওয়ার ঝড় হলো একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যা শ্রীলঙ্কার ওপর দিয়ে হয়ে গিয়ে ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে।
Q2: কতজন নিহত হয়েছে, কতজন নিখোঁজ?
A2: এখন পর্যন্ত ৪১০ জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এবং ৩৩৬ জন এখনও নিখোঁজ।
Q3: কী ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে?
A3: ভূমিধস ও বন্যায় বহু বাড়ি ভেঙে গেছে, পাহাড়ি ঢাল ধসে গেছে, রাস্তাঘাট, গাছপালা — সব কিছু ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Q4: কতজন মানুষ প্রভাবিত?
A4: প্রায় ১২ লাখ মানুষ সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে; বহু পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গিয়েছে।
Q5: উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেমন চলছে?
A5: সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ উদ্ধারকারী দল মৃতদেহ উদ্ধার, কাদা ময়লা সরানো, এবং আশ্রয় ও জরুরি পরিষেবা পুনরুদ্ধার কাজ চালাচ্ছে; বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ পুনরায় সচল করতে কাজ চলছে।

