এক দম বন্ধ করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি — এটাই এখন দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর ছবি। ভারী বর্ষা, ঘূর্ণিঝড় আর ভূমিধসের ধারাবাহিক তাণ্ডবের মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত ৯০০–রও বেশি মানুষের একযোগে প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে শত-শত মানুষ।
মারাত্মক এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে Sumatra দ্বীপ; যেখানে SENIAR cyclone–র প্রভাবে বন্যা ও ভূমিধস হয়। এখানে কমপক্ষে ৪৩৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত — যা আগের দিন ছিল ৩০৩। ৪০০–রও বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ।
Thailand-এর দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে Hat Yai শহর ও তার আশপাশের ১০ প্রদেশ ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বর্ষায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। জলের স্তর ৩ মিটার পর্যন্ত উঠে যায়, সেখানে অন্তত ১৬২ জনের মৃত্যু — এবং প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন মানুষ বিপর্যস্ত।
Sri Lanka — যেখানে Ditowa cyclone–র তাণ্ডবে ২৫ হাজারের বেশি বাড়ি ধ্বংস, এক লাখ ৪৭ হাজার মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ে, মারা গেছেন অন্তত ৩৩৪ জন। আরও অনেকে নিখোঁজ।
Malaysia–র উত্তরাঞ্চলের পেরলিস প্রদেশসহ কয়েকটি জায়গায় বন্যা আর ভূমিধসের কারণে মৃত্যুর খবর এসেছে — যদিও সেখানে তুলনামূলকভাবে ক্ষয়ক্ষতি কম। কিন্তু হাজারো মানুষ এখনো আশ্রয়-কেন্দ্রে।
এই ভয়াবহ দুর্যোগ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃতিতে সহিংসতার মাত্রা বড় হওয়ার পেছনে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, ঘন বর্ষা এবং দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টির সমন্বয়।
Q1: কেন এই ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস হলো একসঙ্গে?
A: কারন — গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, ঘন বর্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্ষা ও তীব্র বৃষ্টিপাত; ফলে নদী উপচে পড়ে, পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস হয়।
Q2: সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো কোনগুলো?
A: Indonesia (বিশেষত Sumatra), Thailand, Sri Lanka এবং Malaysia।
Q3: মৃতের সংখ্যা কত?
A: এখন পর্যন্ত সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৯০০+। কিন্তু নিখোঁজ বহু মানুষ — তাই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
Q4: মানুষ কোথায় আশ্রয় নিচ্ছেন?
A: বন্যা ও ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হয়ে অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয়-কেন্দ্রে.Push করার পর, অনেকেই সরকারি আশ্রয়-শিবিরে বা আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
Q5: ভবিষ্যতে এর ধরনের দুর্যোগ রোধ করা যাবে?
A: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পাহাড় ও বনজঙ্গল সংরক্ষণ, এবং সচেতনতা বাড়ানো দরকার।
