হঠাৎই চুল পড়া বাড়লে চিন্তায় পড়া স্বাভাবিক — তবে সব সময় শ্যাম্পু বা স্ট্রেসই কারণ নয়। কারণ হতে পারে — শরীরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের ঘাটি।
দৈনন্দিন জীবনে যদি পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া না যায়, তাহলে চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে নিচের ভিটামিন এবং উপাদানগুলো চুলের জন্য খুবই জরুরি:
ভিটামিন D: হাড় ও ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে চুলের গোড়াও শক্ত রাখে; সূর্যালোকে কিছু সময় থাকলে দেহ ভিটামিন D তৈরি করে।
বায়োটিন (ভিটামিন B7): কেরাটিন তৈরিতে সাহায্য করে; এর অভাবে চুল ভঙ্গুর ও দ্রুত পড়তে পারে।
আয়রন: রক্ত বিকাশে এবং চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে — আয়রন ঘাটলিতে চুল পড়ে যেতে পারে।
ভিটামিন B12: হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ভূমিকা রাখে এবং ফলিকলকে পুষ্টি পৌঁছে দেয়।
ভিটামিন C: কোলাজেন গঠন এবং আয়রন শোষণে সহায়তা করে; চুলকে মজবুত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন E ও জিঙ্ক: অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুল ভঙ্গুরতা কমাতে কাজে লাগে।
চুল পড়া কমাতে হলে উপরের পুষ্টিগুলোর অভাব মেটানো জরুরি। তাছাড়া প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার (যেমন মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত) খাওয়া উচিত। যদি সঠিক পুষ্টি সত্ত্বেও চুল পড়া কম না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ১: প্রতিদিন কতটা সময় সূর্যালোক নেওয়া উচিত ভিটামিন D-এর জন্য?
উত্তর: রোদে প্রতি দিন প্রায় ১০–৩০ মিনিট সময় কাটানো ভালো — তবে ত্বকের ধরণ, সময়, এবং রোদ কতটা তেজস্বী, এসব বিবেচনায় রাখতে হবে।
প্রশ্ন ২: কি ধরনের খাবার বায়োটিন ও আয়রন দেয়?
উত্তর: ডিম, দুধ-দুগ্ধজাত খাবার, পালংশাক, কলিজা, ফল ও বাদাম বায়োটিন এবং আয়রন-উত্স হিসেবে উপকারী।
প্রশ্ন ৩: শুধুই ভিটামিন খাওয়ার মধ্যেই চুল পড়া রুখা যায় কি?
উত্তর: না — চুল পড়া অনেক কারণে হতে পারে (স্ট্রেস, হরমোন, বংশগত সমস্যা)। পুষ্টির পাশাপাশি জীবনধারা ও প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
প্রশ্ন ৪: ভিটামিন C কিভাবে চুলের জন্য উপকারী?
উত্তর: ভিটামিন C কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে এবং আয়রনের শোষণ বাড়ায় — ফলে চুল মজবুত হয়।
প্রশ্ন ৫: অতিরিক্ত চুল পড়া হলে ঠিক কি করতে হবে?
উত্তর: প্রথমে খাদ্যাভ্যাস এবং ভিটামিন–খনিজ সঠিক কিনা দেখুন। এরপরও সমস্যা থাকলে অভিজ্ঞ ত্বক/চুল বিশেষজ্ঞ (ডারমাটোলজিস্ট)–র সঙ্গে পরামর্শ করুন।

