DA নিয়ে নবান্নে তৎপরতা, ২৫% বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিলবে দু’দফায়? প্রস্তুতি জোরকদমে।
সোমবার সকাল থেকেই রাজ্য সরকারি মহলে তুঙ্গে আলোচনার পারদ—কীভাবে মেটানো হবে সরকারি কর্মীদের বহু প্রতীক্ষিত বকেয়া ডিএ (মহার্ঘ ভাতা)? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মাথায় রেখে এবার কোমর বেঁধে প্রস্তুত হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ জুনের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে—এই নির্দেশ মেনেই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে নবান্ন।
জুনের মধ্যেই পরিশোধের নির্দেশ, এখনও আসেনি সরকারি বিজ্ঞপ্তি
সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীনস্থ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ২৫% ডিএ অবশ্যই ২৭ জুনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি, তবে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে চলেছে।
কীভাবে দেওয়া হবে বকেয়া ডিএ?
সূত্রের দাবি, এই অর্থ বণ্টন করা হতে পারে দু’ভাবে—সরকারি কর্মীদের ৮০ শতাংশ টাকা পাঠানো হতে পারে সরাসরি স্যালারি অ্যাকাউন্টে, বাকি ২০ শতাংশ জমা হতে পারে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (GPF)-এ। এভাবে দুই অ্যাকাউন্টে ভাগ করে দেওয়া হবে পুরো পরিমাণ ডিএ।
পেনশনভোগীদের জন্য থাকছে আলাদা ব্যবস্থা
যাঁরা পেনশন অথবা ফ্যামিলি পেনশনের আওতায় রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিএ-এর পুরো অঙ্ক সরাসরি পাঠানো হবে পেনশন অ্যাকাউন্টে। এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন লক্ষাধিক পেনশনভোগী।
রাজকোষ থেকে বিপুল খরচ, আসছে নতুন অ্যাপ
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হতে পারে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। যদিও অর্থ দফতরের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, কিন্তু ভিতরে ভিতরে চলছে পুরোদমে কাজ। পাশাপাশি, ডিএ ও বেতন সংক্রান্ত তথ্য আরও স্বচ্ছ করতে রাজ্য চালু করতে চলেছে একটি নতুন অ্যাপ, যেখানে কর্মীরা নিজেদের হিসাব-নিকাশ দেখতে পারবেন সহজে।
আদালতে ফের শুনানি আগস্টে, রাজ্যের আপত্তি বহাল
ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী আগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি মডিফিকেশন পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, যেখানে যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে, কিছু নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংক্ষেপে:
• ডিএ পরিশোধের সময়সীমা: ২৭ জুনের মধ্যে
• বণ্টনের সম্ভাব্য পদ্ধতি: ৮০% স্যালারি অ্যাকাউন্টে, ২০% GPF-এ
• পেনশনভোগীরা পাবেন: পুরো অর্থ পেনশন অ্যাকাউন্টে
• প্রত্যাশিত ব্যয়: আনুমানিক ₹১০,০০০ কোটি
• পরবর্তী শুনানি: আগস্ট, সুপ্রিম কোর্ট।