Weather Update: সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা! ৯ জেলায় জারি হল সতর্ক

Published By: Khabar India Online | Published On:

Weather Update: সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা! ৯ জেলায় জারি হল সতর্ক।

বর্ষা আসার আগেই রাজ্যে বাজছে মৌসুমীর আগমনী সুর। বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপ নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৬ মে থেকে রাজ্যের দক্ষিণ এবং উত্তর অংশে ঝড়-বৃষ্টির দাপট বাড়বে। বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের ৯টি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা থাকায় জারি হয়েছে সতর্কতা।

কোন কোন জেলায় প্রভাব পড়বে?
দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Weather Update: বর্ষার খবর এল! তীব্র গরম থেকে মিলবে কি মুক্তি?

এছাড়াও উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃষ্টির স্থায়িত্ব ও মৌসুমী অগ্রগতি
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বৃষ্টির প্রবণতা রাজ্যে বৃদ্ধি পাবে। কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতির ফলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Rhea Chakraborty: রিয়া চক্রবর্তী, আবার হাজতবাস, প্রকাশ্যে এলো খবর, সুশান্ত মামলায়

উল্লেখযোগ্যভাবে, চলতি বছরে বর্ষা কেরালায় নির্ধারিত সময়ের আগেই, ২৪ মে প্রবেশ করেছে। ফলে অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গেও বর্ষা নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রবেশ করতে পারে। এটি কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেললেও শহরাঞ্চলে জলজটের সমস্যা বাড়াতে পারে।

আরও পড়ুন -  Weather Update: পুড়বে বাংলা চৈত্রের শেষে, আবহাওয়ার কি রকম আগামী কয়েকদিন?

সতর্কতা ও পরামর্শ
আবহাওয়াবিদদের মতে, নিম্নচাপটি ২৭ মে নাগাদ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। যদিও আপাতত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা নেই, তবে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত থেকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বসবাসকারী নাগরিকদের যাত্রাপথ পরিকল্পনা, ঘর-বাড়ির নিরাপত্তা এবং কৃষিপণ্য রক্ষার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে আবহাওয়ার নিয়মিত আপডেট অনুসরণ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।