Indian Railways: হাওড়া-দিঘা রুটে আসছে ‘মিনি’ বন্দে ভারত, বদলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের যাতায়াত ও পর্যটন

Published By: Khabar India Online | Published On:

Indian Railways: হাওড়া-দিঘা রুটে আসছে ‘মিনি’ বন্দে ভারত, বদলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের যাতায়াত ও পর্যটন।

পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ ব্যবস্থায় আসছে এক নতুন দিগন্ত—হাওড়া থেকে দীঘা পর্যন্ত চালু হতে চলেছে ‘নামো ভারত’ র্যাপিড রেল পরিষেবা, যা রাজ্যের পর্যটন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করে তুলবে।

নতুন রুট ও স্টেশন তালিকা
এই আধুনিক ট্রেন পরিষেবা হাওড়া থেকে দীঘা পর্যন্ত চলবে এবং মাঝপথে মোট ১৩টি স্টেশনে থামবে। এই স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে সাঁতরাগাছি, ঘাটাল, তমলুক, কাঁথি, এগরা ও দীঘা। এই রুটটি রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলকে সরাসরি সংযুক্ত করবে, যা স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের জন্য এক বড় সুবিধা হিসেবে কাজ করবে।

আরও পড়ুন -  Indian Railways: ভারতীয় রেলওয়ে চালু করল, দোল উৎসবে নতুন ট্রেন পরিষেবা, তালিকা দেখুন

যাত্রী ভাড়া ও সময়
নামো ভারত র্যাপিড রেলে সাধারণ শ্রেণির ভাড়া আনুমানিক ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে নির্ধারিত হতে পারে। প্রথম শ্রেণির ভাড়া স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা বেশি থাকবে। হাওড়া থেকে দীঘা পৌঁছাতে এই ট্রেনের সময় লাগবে মাত্র ২.৫ থেকে ৩ ঘণ্টা, যা বর্তমানে প্রচলিত ট্রেন পরিষেবার তুলনায় অনেক দ্রুত।

আরও পড়ুন -  ২৬ কোচের ট্রেন চালাবে রেল, বাড়তি ভাড়া লাগবে না, ট্রেন যাত্রীদের সুখবর

আধুনিক সুবিধাসমূহ
এই ট্রেন পরিষেবায় থাকবে উন্নত প্রযুক্তির ট্রেন কোচ, যেখানে থাকবে আরামদায়ক আসন, বিনামূল্যে Wi-Fi, ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। যাত্রীরা পাবেন এক উন্নতমানের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।

পর্যটন ও অর্থনৈতিক প্রভাব
দীঘা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত। হাওড়া-দিঘা র্যাপিড রেল চালু হলে কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে দীঘায় যাওয়া আরও সহজ ও সময়সাশ্রয়ী হবে। ফলে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ স্থানীয় ব্যবসায় উন্নতি ঘটবে।

আরও পড়ুন -  Vande Bharat Express: খরচ হয় কত টাকা বন্দে ভারত ট্রেন বানাতে রেলের? আয় কত হয় ট্রেন থেকে?

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এই প্রকল্প সফল করতে সরকারের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণ, পরিবেশগত ছাড়পত্র, এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে কাজ শুরু হয়েছে এবং অনুমান করা যাচ্ছে যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।