Rafale Jet: ভারত-ফ্রান্সের ৬৩,০০০ কোটি টাকার চুক্তিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি

Published By: Khabar India Online | Published On:

রাফাল যুদ্ধবিমান:
ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্প্রতি ৬৩,৮৮৭ কোটি টাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মাধ্যমে ভারতীয় নৌবাহিনী ২৬টি অত্যাধুনিক রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান অর্জন করবে। এই চুক্তি ভারতীয় নৌবাহিনীর সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে।

চুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য:
• বিমান সংখ্যা: ২২টি একক আসনের রাফাল-এম এবং ৪টি দ্বৈত আসনের প্রশিক্ষণ বিমান।
• মূল্য: প্রায় ৬৩,৮৮৭ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন -  কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রী আগামীকাল (১৭ই মার্চ) ১১তম 'ভারতীয় রসায়ন-২০২১' অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন

• ডেলিভারি সময়সীমা: ৩৭ থেকে ৬৫ মাসের মধ্যে, ২০৩১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ।

• অস্ত্র ও সরঞ্জাম: স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল, মেটিওর এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল এবং এক্সোসেট এএম৩৯ অ্যান্টি-শিপ মিসাইলসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রভাণ্ডার।

• অতিরিক্ত সুবিধা: পাইলট ও প্রযুক্তিবিদদের প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা, এবং পাঁচ বছরের পারফরম্যান্স-ভিত্তিক লজিস্টিক সাপোর্ট।

চুক্তির গুরুত্ব: এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় নৌবাহিনী তার দুটি প্রধান বিমানবাহী রণতরী—আইএনএস বিক্রান্ত ও আইএনএস বিক্রমাদিত্য—এর জন্য উন্নত যুদ্ধবিমান পাবে। বর্তমানে ব্যবহৃত মিগ-২৯কে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে রাফাল-এমকে আরও নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকর বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -  বিজেপি প্রার্থী অজয় পোদ্দারের সর্মথনে কুলটি থানা মাঠে জনসভা করলেন স্মৃতি ইরানি ও বাবুল সুপ্রিয়

রাফাল-এম যুদ্ধবিমানগুলির বহুমুখী সক্ষমতা রয়েছে। এগুলি সমুদ্র থেকে আকাশে এবং আকাশ থেকে সমুদ্রে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। এমনকি পারমাণবিক অস্ত্র পরিবহণের ক্ষমতাও রয়েছে, যা ভারতের সমগ্র প্রতিরক্ষা কৌশলকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

আরও পড়ুন -  VIDEO: উদ্দাম ভঙ্গিমায় নাচ যুবতীর ‘তেরি নাচাই নাচু সু’ গানে, এই ভিডিও দেখে সবাই অবাক

স্থানীয় উৎপাদন ও আত্মনির্ভরতা: চুক্তির আওতায়, ফরাসি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কিছু যন্ত্রাংশ ও উপাদান স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করবে। এর মাধ্যমে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ (Make in India) উদ্যোগও গুরুত্বপূর্ণভাবে সমর্থিত হবে।

কৌশলগত প্রভাব: এই চুক্তি শুধু ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াবে না, বরং ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও আরও দৃঢ় করবে।