Child Aadhaar Card: শিশুর আধার কার্ড তৈরির সময় এই ভুলগুলি এড়িয়ে চলুন।
ভারতে আধার কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র, যা শিশুদের জন্যও সমানভাবে প্রয়োজনীয়। স্কুলে ভর্তি, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ, এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে শিশুর আধার কার্ড প্রয়োজন হতে পারে। তাই, এটি তৈরি করার সময় অভিভাবকদের সতর্ক থাকা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শিশুর আধার কার্ড তৈরির সময় কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।
১. শিশুর নাম সঠিকভাবে লিখুন
অনেক অভিভাবক আধার কার্ডের আবেদন করার সময় সন্তানের নাম বা উপাধির বানানে ভুল করে থাকেন। এটি পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য বাড়তি সময় ও অর্থের অপচয় সৃষ্টি করতে পারে। তাই, আবেদন করার আগে সন্তানের নাম সঠিকভাবে লিখতে হবে এবং পুনরায় যাচাই করতে হবে।
২. পিতামাতার নামের সঠিকতা নিশ্চিত করুন
শিশুর আধার কার্ডে পিতামাতার নাম ভুল থাকলে তা পরবর্তীতে বিভিন্ন নথিপত্রের সাথে অসঙ্গতি তৈরি করতে পারে। তাই, বাবা-মায়ের নামের বানান সঠিকভাবে লিখতে হবে এবং প্রয়োজন হলে পূর্বেই যাচাই করে নিতে হবে।
৩. ঠিকানার সঠিকতা নিশ্চিত করুন
সাধারণত, শিশুর ঠিকানা বাবার আধার কার্ড অনুযায়ী নেওয়া হয়। যদি বাবার আধার কার্ডে ভুল ঠিকানা থাকে, তবে তা শিশুর কার্ডেও চলে আসবে, যা ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই, বাবার আধার কার্ডের ঠিকানা সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
৪. শিশুর আধার কার্ড পিতামাতার সাথে লিঙ্ক করুন
অনেক অভিভাবক সন্তানের আধার কার্ডকে নিজেদের আধার কার্ডের সাথে সংযুক্ত করেন না, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন কাজে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, শিশুর আধার কার্ড পিতামাতার আধার কার্ডের সাথে সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক।
৫. বায়োমেট্রিক আপডেট করতে ভুলবেন না
৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ‘বাল আধার’ কার্ড ইস্যু করা হয়, যেখানে বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ ও চোখের রেটিনা স্ক্যান) অন্তর্ভুক্ত থাকে না। ৫ বছর পূর্ণ হলে এই তথ্যগুলো আধার কার্ডে আপডেট করা জরুরি। তাই, নির্দিষ্ট সময় পর শিশুর আধার কার্ড আপডেট করাতে ভুলবেন না।
৬. সঠিক তথ্য প্রদান করুন ও যাচাই করুন
শিশুর আধার কার্ড তৈরির সময় ভুল তথ্য প্রদান করলে তা ভবিষ্যতে সংশোধন করা কষ্টসাধ্য হতে পারে। তাই, আবেদন করার আগে সব তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করে নিন এবং আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করুন।
সঠিকভাবে আধার কার্ড তৈরি করলে শিশুদের পরিচয় সংরক্ষিত থাকবে এবং বিভিন্ন সরকারি ও প্রশাসনিক কাজে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। তাই, অভিভাবকদের উচিত সতর্কতা অবলম্বন করা ও প্রয়োজনীয় তথ্য যথাযথভাবে প্রদান করা।