বড়দিনের উপহার, বিহার সরকারের এক ধাক্কায় ১২% ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা

Published By: Khabar India Online | Published On:

বড়দিনের উপহার, বিহার সরকারের এক ধাক্কায় ১২% ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা।

২০২৪ সালের শেষের দিকে বিহার সরকার সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধির বড়সড় ঘোষণা দিয়েছে। এবার ডিএ ৭% থেকে বাড়িয়ে সরাসরি ১২% করা হয়েছে, যা লক্ষাধিক কর্মচারী ও পেনশনভোগীর আর্থিক স্বস্তি বয়ে আনবে।

ডিএ বৃদ্ধির বিস্তারিত
বিহার সরকার পঞ্চম ও ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় বেতন স্কেলের কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য ভিন্ন হারে ডিএ বৃদ্ধি করেছে।

• পঞ্চম কেন্দ্রীয় বেতন স্কেল: মহার্ঘ ভাতা ৪৪৩% থেকে বাড়িয়ে ৪৫৫% করা হয়েছে।
• ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় বেতন স্কেল: মহার্ঘ ভাতা ২৩৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৪৬% হয়েছে।
এই নতুন হারে ডিএ ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  সরকারি কর্মীরা দুটি বড় উপহার পেতে চলেছেন, ব্যাঙ্কে ঢুকবে বকেয়া

মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিএ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

1. অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উন্নয়ন
রাজ্যে নতুন ২৫০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা।
প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ ৩০০ কোটি টাকা।
প্রতিটি ভবনের জন্য ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ।

আরও পড়ুন -  পোস্ট অফিসের এই স্কিমে করুন বিনিয়োগ, বাড়ি বসে পাবেন ১৫,৩৭৫ টাকা

২৫৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে নাবার্ড থেকে এবং বাকি ৪৫ কোটি টাকা রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হবে।
2. পৌরসভার জন্য আর্থিক সহায়তা
রাজ্যের পৌরসভাগুলোর উন্নয়নে ৯৩.৩৯ কোটি টাকা অনুদান বরাদ্দ।
এই অর্থ শহরের উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে।

3. শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়ন
পাটনায় একটি কাউন্সিলে অতিরিক্ত কক্ষ নির্মাণের জন্য ৩৪.২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ।

আরও পড়ুন -  ‘দুয়ারে আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ’, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যবাসীর জন্য বিশেষ উদ্যোগ
বিহার সরকারের এই পদক্ষেপগুলো কেবল সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য নয়, বরং রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

• অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নির্মাণ: শিশুদের পুষ্টি ও প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সহায়ক।
• পৌরসভার জন্য বরাদ্দ: শহরাঞ্চলের পরিকাঠামো ও পরিষেবার মানোন্নয়নে সহায়ক।
• শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়ন: শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

এই উদ্যোগগুলি রাজ্যের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং রাজ্যবাসীর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।