খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে পঙ্গপালের আক্রমণ প্রতিহত করতে জোরদার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। গতকাল পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের কাজে এক অভিনব প্রয়াস গ্রহণ করা হয়। এই প্রয়াসের অঙ্গ হিসেবে রাজস্থানের জয়শলমীর জেলার ৬৫আরডি বান্দা এলাকায় একটি বেল হেলিকপ্টারের সাহায্যে পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণে রাসায়নিক ছড়ানো হয়েছে।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায় গত ১১ই এপ্রিল থেকে তেশরা জুলাই পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৫ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকায় পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। তেশরা ও চৌঠা জুলাই রাজস্থানের ৬টি জেলায় এবং উত্তরপ্রদেশের ২টি জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় রাত্রিকালিন পঙ্গপাল দমন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে ঝাঁসি জেলার ৪টি জায়গায় পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। দপ্তরের কর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পঙ্গপাল দমনে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন।
গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, বিহার ও হরিয়ানা থেকে ব্যাপকহারে শস্যহানির খবর মেলেনি। অবশ্য, রাজস্থানের কয়েকটি জেলায় গৌণ কিছু ফসলের ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। হাল্কা গোলাপী রঙের অপরিণত ছোট ছোট পঙ্গপাল এবং হলুদ বর্ণের পরিণত পঙ্গপাল রাজস্থানের ৬-৭টি জেলায় এবং উত্তরপ্রদেশের দুটি জেলায় সক্রিয় রয়েছে।
বর্তমানে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে পঙ্গপালের ওপর রাসায়নিক স্প্রে ছড়ানোর জন্য ৬০টি দল যুক্ত রয়েছে। এছাড়াও, পঙ্গপাল দমন অভিযানে ২০০ জনেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীকে কাজে লাগানো হয়েছে। পঙ্গপাল দমন অভিযানে রাজস্থানের বিভিন্ন জেলায় দ্রোন কাজে লাগানো হচ্ছে। দ্রোনগুলির সাহায্যে পঙ্গপালের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। ভারত-ই বিশ্বের প্রথম দেশ যেখানে পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণে দ্রোন ব্যবহার হচ্ছে। সূত্র – পিআইবি।