Business Idea: ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন, মাসে আয় লাখ টাকার উপরে!
পেট্রোল-ডিজেলের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় মানুষ এখন ইলেকট্রিক যানবাহনের দিকে ঝুঁকছেন। বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। কিন্তু ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চার্জিং ব্যবস্থা। দেশে এখনও চার্জিং স্টেশনের অভাব রয়েছে, যা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য দারুণ ব্যবসার সুযোগ তৈরি করেছে। আপনি চাইলে এখনই একটি ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন খুলে খুব সহজেই প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন ব্যবসা: কী কী দরকার?
একটি ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন খুলতে আপনার প্রয়োজন হবে ৫০ থেকে ১০০ বর্গগজ জায়গা। জমিটি নিজের নামে বা অন্তত ১ বছরের জন্য লিজ নেওয়া উচিত। জমিতে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, এই ব্যবসার জন্য স্থানীয় পৌর কর্পোরেশন, বন বিভাগ এবং দমকল বিভাগ থেকে অনুমোদন বা এনওসি নিতে হবে। চার্জিং স্টেশনে পার্কিং, গাড়ির যাতায়াতের ব্যবস্থা, পরিষ্কার পানীয় জল, টয়লেট, বিশ্রামাগার, এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের মতো কিছু প্রাথমিক সুবিধাও থাকতে হবে।
কীভাবে চার্জিং স্টেশন লাইসেন্স পাবেন?
চার্জিং স্টেশন শুরু করতে চাইলে আপনি জাতীয় সড়ক ও পরিবহন বিভাগে আবেদন করতে পারেন অথবা বড় কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারেন। যেমন, টাটা তাদের চার্জিং স্টেশন ফ্র্যাঞ্চাইজি দিচ্ছে, যা সহজেই নেওয়া যায় এবং আয়ও ভালো হয়।
প্রাথমিক খরচ ও আয়
চার্জিং স্টেশন খুলতে সাধারণত ১৫-২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ লাগে। চার্জিং ক্ষমতা বাড়ালে খরচও বাড়বে। প্রাথমিক স্তরে ১৫ লাখ টাকা খরচ করে চার্জিং স্টেশন শুরু করা যায়। একটি ৩০০০ কিলোওয়াট চার্জিং স্টেশন দিনে প্রায় ৭৫০০ টাকা আয় করতে পারে। এতে মাসিক আয় হতে পারে ২.২৫ লাখ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসিক ১.৫ থেকে ১.৭৫ লাখ টাকা সহজেই আয় করা সম্ভব। চার্জিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আয়ও ১০ লাখ টাকার উপরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
সুতরাং, আপনি যদি কম খরচে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন হতে পারে আপনার জন্য একটি দারুণ সুযোগ!