Tata Group: প্রায় ২৭ হাজার জনকে চাকরি দেবেন রতন টাটা, সামনে এসেছে এই প্ল্যান

Published By: Khabar India Online | Published On:

Tata Group: প্রায় ২৭ হাজার জনকে চাকরি দেবেন রতন টাটা, সামনে এসেছে এই প্ল্যান।

টাটা গ্রুপ (Tata Group) দেশজুড়ে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে। সম্প্রতি জানা গেছে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং টাটা সন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন মরিগাঁও জেলার জাগিরোডে ২৭,০০০ কোটি টাকার সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ও টেস্টিং সেন্টারের ভূমিপুজো করেছেন।

এই প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে।

আরও পড়ুন -  ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন

এই উদ্যোগটি দেশের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশাল সুযোগ তৈরি করবে। ইলেকট্রনিক্স তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, আসামে তৈরি হতে চলা টাটা গ্রুপের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট প্রতিদিন প্রায় ৪.৮৩ কোটি সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদন করবে। এই প্ল্যান্ট চালু হলে ১৫ হাজার মানুষকে সরাসরি এবং আরও ১৩ হাজার মানুষকে পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেবে।

আরও পড়ুন -  ৪০,০০০ বেকার যুবক-যুবতীর জন্য চাকরির সুযোগ, রতন টাটার প্রয়াণের পর বড় পদক্ষেপ TCS-এর

বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে চাকরির বাজারে অস্থিরতা রয়েছে, সেখানে এই খবরটি স্বস্তি আনবে।

মন্ত্রী আরও জানান, এই প্রকল্প অনুমোদনের মাত্র ৫ মাসের মধ্যে প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ শুরু হবে। এই প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত চিপগুলি বৈদ্যুতিক যানবাহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া, যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো, 5G, রাউটার প্রভৃতি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় চিপগুলিও এই প্ল্যান্টে উৎপাদিত হবে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই প্ল্যান্টে ব্যবহৃত প্রধান তিনটি প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে ভারতে তৈরি করা হবে। এছাড়াও, দেশের ১১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তৈরি করা হবে, যেখানে প্রায় ৮৫ হাজার ইন্ডাস্ট্রি রেডি ওয়ার্কফোর্সকে সেমিকন্ডাক্টর চিপ ডিজাইনিংয়ে B.Tech, M.Tech এবং PhD স্তরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -  WB Government Jobs: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব সমাজকে দোলের উপহার দিলেন, চাকরির সুযোগ

প্রধানমন্ত্রী মোদীর “অ্যাক্ট ইস্ট” নীতির মাধ্যমে আসাম এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করতে চলেছে, যা রাজ্যের উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।