BSNL-এ সিম পোর্ট করানো একটি সম্পূর্ণ গাইড পড়ুন।
ভারতের টেলিকম বাজারে সম্প্রতি বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা গেছে, যেখানে বেশিরভাগ প্রাইভেট অপারেটরগুলি তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছে। এর ফলে অনেক গ্রাহক বিএসএনএলের দিকে ঝুঁকছেন, যেখানে রিচার্জের দাম স্থির রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, অনেকেই বিএসএনএলে সিম পোর্ট করানোর প্রক্রিয়া জানতে চাইছেন। এই প্রতিবেদনে আমরা বিএসএনএলে সিম পোর্ট করানোর পদ্ধতি এবং এর সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রথমে, বিএসএনএলে (BSNL) সিম পোর্ট করানোর প্রক্রিয়াটি সহজ এবং সরল। গ্রাহককে প্রথমে 1900 নম্বরে ‘PORT’ লিখে একটি SMS পাঠাতে হবে, তারপর তার 10 ডিজিটের মোবাইল নম্বর লিখতে হবে। এরপর, গ্রাহক একটি ইউনিক পোর্টিং কোড পাবেন, যা তাকে বিএসএনএল সার্ভিস সেন্টারে দেখাতে হবে। সেখানে গ্রাহককে তার কেওয়াইসি তথ্য (আধার কার্ড, ছবি, বায়োমেট্রিক তথ্য) প্রদান করতে হবে এবং নতুন সিমের জন্য প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করতে হবে। এরপর, পোর্টিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, গ্রাহকের নতুন বিএসএনএল সিম চালু হয়ে যাবে।
বিএসএনএলে সিম পোর্ট করানোর সুবিধাগুলি হলো কম খরচে ভালো প্ল্যান পাওয়া যায়, যেমন আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং দৈনিক ১ জিবি, ১.৫ জিবি অথবা ২জিবি ডেটা। এছাড়াও, বিএসএনএল তার গ্রাহকদের বিভিন্ন ভ্যালিডিটির প্ল্যান অফার করে, যেমন ২৮ দিন, ৩০ দিন, ৮৪ দিন অথবা ৩৬৫ দিনের প্ল্যান। এই সুবিধাগুলি অন্যান্য অপারেটরদের তুলনায় বিএসএনএল আরও আকর্ষণীয় করেছে।
অবশ্যই, বিএসএনএলের কিছু অসুবিধাও রয়েছে। নেটওয়ার্কের দুর্বলতা এবং ৫জি পরিষেবার অভাব হলো প্রধান অসুবিধা। তবে, বিএসএনএল তার পরিষেবা উন্নত করার জন্য নানা পরিকল্পনা করছে, যা ভবিষ্যতে এই অসুবিধাগুলি দূর হবে।
সব মিলিয়ে, বিএসএনএলে সিম পোর্ট করানো অনেকের জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে, বিশেষ করে যারা কম খরচে ভালো প্ল্যান খুঁজছেন। তবে, গ্রাহকদের উচিত পোর্টিং প্রক্রিয়া এবং বিএসএনএলের পরিষেবা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।