CESC: বিদ্যুৎ বিলে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস, কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
উত্তরবঙ্গ বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে, কিন্তু কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় দেখা নেই বৃষ্টির। সেই জন্য বাড়ছে অস্বস্তিকর গরম। আগের বছরে এ সময়ে বর্ষার শুরু হয়ে গেলেও এ বছরে বৃষ্টির দেখা নেই। তার জন্য গরমের জেরে ইলেকট্রিক বিলও (Electric Bill) বেড়েছে ঊর্ধ্বমুখী।
এখন এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ক্ষোভ শুভেন্দুর CESC এর বিরুদ্ধেঃ
গত বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গ বিজেপির দফতরে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিলো। সেখানে কয়েকটি CESC বিল দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ভোটের সময়ে চুপিসারে বাড়িয়া দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের বিল। রাজ্য সরকারের রেগুলেটরি বোর্ডের অনুমোদন নিয়েই এমনটা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভোটের সময়ে কোথাও দ্বিগুণ, আবার কোথাও তিনগুণ ট্যারিফে সিলিং বদলে বিল বাড়িয়েছে।
এবার কড়া বার্তা বিরোধী নেতারঃ
এবার বর্ধিত বিল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, CESC এর মাত্রাতিরিক্ত বিলের জন্য বহু মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের মধ্যে আর্থিক সমস্যা হচ্ছে। যারা ছোট দোকান চালিয়ে উপার্জন করেন তারা অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ছেন। অবিলম্বে বিদ্যুতের বাড়তি বিল না কমানো হলে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালানোরও আভাস দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, তিনজন বিজেপি কাউন্সিলর, কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল CESC এর কাছে দাবি পেশ করবে। এক সপ্তাহ পরেও যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না হয় তাহলে CESC অফিস অভিযান চালানো হবে বলেও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
অপরদিকে পালটা বক্তব্য তৃণমূলেরঃ
আবার পালটা মন্তব্যে তৃণমূল এর কুণাল ঘোষ বলেন, CESC কে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কড়া বার্তা দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। CESC একটি বেসরকারি সংস্থা। যতটা সম্ভব বার্তা দেওয়ার তা রাজ্য সরকার দেয়। রাজ্য সরকারের তরফে যতটা সম্ভব ততটা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ।