Muriganga Setu: পুজোর আগেই গঙ্গাসাগর সেতু নিয়ে তৎপরতা, তৈরি কবে হবে?

Published By: Khabar India Online | Published On:

Muriganga Setu: পুজোর আগেই গঙ্গাসাগর সেতু নিয়ে তৎপরতা, তৈরি কবে হবে?

সুখবর তীর্থযাত্রীদের জন্য। মুড়িগঙ্গার ওপরে গঙ্গাসাগর সেতু তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই ঘোষণা বহু আগেই হয়েছিলো। ২০২৪-এ লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে। এই সেতু তৈরি করার কাজ শেষ হয়ে গেল, তীর্থ যাত্রীদের জন্য আরও সুবিধা হবে।

এই গঙ্গাসাগর সেতু তৈরীর কাজের তৎপরতা দেখতে শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেতু তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই জমি অধিগ্রহণের জন্য স্থানীয়দের সাথে কথা বলা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। জমি দিতে রাজি হয়েছেন প্রায় ১০০ জনের বেশি বাসিন্দা।

আরও পড়ুন -  ধস প্রবাহিত লোকেদের পুনর্বাসনের দাবিতে বুধবার থেকে কাজোড়া জিএম অফিসের কার্যালয়ের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্ণায়

গঙ্গাসাগরে এই সেতু নির্মাণ করার জন্য কাকদ্বীপ ও সাগরের মোট ১২ একর জমির প্রয়োজন। যে জমির প্রয়োজন তার মধ্যে বেশিরভাগই হল ব্যক্তিগত মালিকাধীন জমি রয়েছে। মালিকদের বলা হয়েছে, তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। সেই জন্য ১০০রও বেশি মালিক জমি দিতে সম্মত হয়েছেন।

এখন জমি নিয়ে কতটা খরচ হতে পারে তার একটা হিসাব করে ফেলেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। জমির জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ খরচ হবে প্রায় ২০ কোটি টাকা। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে একটা বিশেষ পদ্ধতিতে। জানতে পারা যাচ্ছে, সেতু নির্মাণের জন্য যতটা জমির প্রয়োজন হবে, সেই অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবে।

আরও পড়ুন -  Berlin: বার্লিনে বিক্ষোভ, ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা

সেতুর জন্য প্রয়োজন হবে কচুবেড়িয়া ও কালিনগরের সাড়ে চার একর জমি। জমির বেশিরভাগটাই ফাঁকা আছে। দুটো জায়গায় রয়েছে তাদের বড় সেগুলোকে অন্য জায়গায় সরানো হবে, ভেঙে ফেলা হবে একটা বাড়ি। জানা যাচ্ছে, এই অঞ্চলে মোট ৩৫ জন বাস করেন। তারা জমি দিতে রাজি হয়েছেন।

যেহেতু গঙ্গাসাগরে একটা সেতু হলে, প্রত্যেকেই বেশ উপকৃত হবেন, সেই জন্যই তারা জমি ছেড়ে দিতেও রাজি।

আরও পড়ুন -  OYO কে ভুলে যান, কম খরচে থাকা খাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা এই সরকারি গেস্ট হাউসে

মালিকরা যে মুহূর্তে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেবে সেই মুহূর্তে সরকার জমি নিয়ে নেবে। সাগরে চার একর জমির দাম ১০ কোটি টাকা। অপরদিকে কাকদ্বীপে ৭.৭৫ একর জমির দাম হবে, প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা।

সেখানকার ৮০ থেকে ৯০ জন বাসিন্দা জমি দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। গঙ্গাসাগর সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৭৬ কিলোমিটার। এই মুড়িগঙ্গা দিয়ে অনেক জাহাজ যাতায়াত করে। সেই কারণে জলস্তর থেকে ১২ থেকে ১৩ ফুট উচ্চতায় সেতু নির্মাণ হবে। এই সেতু তৈরি করতে ধরা হয়েছিল প্রায় বারোশো কোটি টাকা। কিন্তু এখন হিসাব বেড়েছে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা।