Ghatal Master Plan: ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু, প্রতিশ্রুতি রাখলেন দেব।
তৃণমূলের তারকা সদস্য দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dev) লোকসভা ভোটের এবার ফলাফল দারুণ করেছেন ঘাটাল থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি মতোই নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান (Ghatal Master Plan) তৈরির তোড়জোড় শুরু করেছেন।
জানা যাচ্ছে, গত ১২ ই জুন এই প্রসঙ্গে সেচ দফতরের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেছেন দেব। সেখানে নেওয়া সিদ্ধান্তের পরেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর করতে আধিকারিকদের সাথে আসেন ঘাটালে।
এখানে প্রতিবছরই বর্ষাকালটা দুঃসহ হয়ে ওঠে ঘাটালবাসীদের। প্রতি বছরই বন্যা বিধ্বস্ত ঘাটালবাসী অপেক্ষায় থাকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর হওয়ার। সাংসদ দেবের মুখেও অনেকবার এই মাস্টারপ্ল্যানের কথা শোনা গিয়েছে। তাই এবার বর্ষার আগে প্রথমেই দাসপুরের দুটি সেচ খাল চন্দেশ্বর ও শোলাটোপা খাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
জানা যাচ্ছে, দেবের সাথে বৈঠক করার পরেই সেচ আধিকারিকরা দাসপুরে আসেন। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে ঠিক করা হয়েছিল, বন্যার জলের চাপ কমাতে দুটি সেচ খালকে কংসাবতী ও শিলাবতী নদীর সাথে যুক্ত হবে। এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করতেই আধিকারিকরা দাসপুরে এসেছিলেন। জানা যাচ্ছে, ৫ কিমি প্রস্তাবিত খাল কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, প্রথমবার সাংসদ হয়ে লোকসভায় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা তুলেছিলেন দেব। এরপর বছরের পর বছর কাটলেও এ সংক্রান্ত কোনো কাজই হয়নি। ‘২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানই ছিল তৃণমূলের অন্যতম হাতিয়ার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যদি দেব ও জুন জয়লাভ করেন, তাহলে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান উপহার দেওয়া হবে। কেন্দ্রের তরফে টাকা না দেওয়া হলে রাজ্য টাকা দেবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
পালটা বিজেপির তরফে কটাক্ষ এসেছিল, কেন্দ্র নাকি বরাদ্দ টাকা দিয়েছে। রাজ্য বাকি টাকা দিয়ে কাজ শুরু করতে পারেনি। অপরদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এক মাসের মধ্যে কেন্দ্র যদি টাকা না দেয় তবে ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে বাস্তবায়িত করা হবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। এবার কাজ শুরু হতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে ঘাটালবাসী।