Weather Update: বড় আপডেট দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর, কবে থেকে শুরু কালবৈশাখী।
গরমকালের আবহাওয়া: প্রখর রোদ, প্রকৃতির রঙিন রূপ।
গ্রীষ্মকাল, বছরের সেই সময় যখন প্রকৃতি তার পূর্ণ রূপে ধরা দেয়। এই দিনগুলো দীর্ঘ হয়, রোদ থাকে প্রখর,আকাশ থাকে পরিষ্কার নীল। গরমের তীব্রতা কখনও কখনও অসহ্য হলেও, এই ঋতু আমাদের জীবনে আনে এক অনন্য আনন্দ ও উৎসাহ।
গরমের প্রভাব:
তাপমাত্রা বৃদ্ধি: গ্রীষ্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। সূর্যের আলো সরাসরি পৃথিবীর উপর পড়ে, যার ফলে তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি: পৃথিবীর অক্ষের কাত হওয়ার কারণে, গ্রীষ্মের সময় সূর্য আকাশে বেশি সময় ধরে থাকে। এর ফলে দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় এবং রাতের দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়।
বৃষ্টিপাত: গ্রীষ্মের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয়। কিছু অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, আবার কিছু অঞ্চলে খরা দেখা দেয়।
আর্দ্রতা: গ্রীষ্মের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি। এর ফলে আবহাওয়া ভ্যাপসা ও অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।
গরমকালের প্রভাব:
মানুষের উপর প্রভাব: প্রখর রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকলে ত্বকে পোড়া, ডিহাইড্রেশন, এবং তাপঘাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
কৃষিকাজের উপর প্রভাব: গ্রীষ্মের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ার ফলে কৃষিকাজের উপর প্রভাব পড়ে।
পরিবেশের উপর প্রভাব: গ্রীষ্মের তীব্রতা নদী ও জলাশয়ের জলস্তর হ্রাস পায়।
কলকাতা তথা বাংলায় তাপমাত্রা লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই অতি গরমে কলকাতা রাস্তাঘাট রীতিমতো ফাঁকা। শুনশান দুপুর বেলা। দরকারি কাজ ছাড়া কেউই বাইরে যাচ্ছে না। আবার যাদের বাড়িতে এসি রয়েছে তারা সব সময় এসি চালু রেখেছেন।
কলকাতা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রবিবার ৪১.৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড স্পর্শ করেছিলো। যেটা বিগত ৫০ বছরের রেকর্ড। আজকে সোমবারও তাপপ্রবাহের খবর রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আজ তাপপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে।তাই বলা যেতে পারে, এটাই হতে চলেছে কলকাতার সব থেকে উষ্ণতম এপ্রিল।
প্রচন্ড উষ্ণ পশ্চিমের হাওয়া অবাধে দাপট দেখাতে শুরু করেছে বাংলায়। রোজ সন্ধ্যার পর বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া ঢুকছে বটে, তার ফলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ভীষণ কম। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাল, সোমবার থেকে ৭ মে পর্যন্ত রাজ্যে কোনওরকম বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রার আর তেমন কোনও উল্লেখ্যযোগ্য বদল নেই। তাপপ্রবাহ চলতে থাকবে।
কোথায় কোথায় চলবে তাপপ্রবাহ?
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। যেমন বাঁকুড়া দুই বর্ধমান ও পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। এই তিনটি রাজ্যে তাপ প্রবাহের জন্য জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। পশ্চিমাঞ্চলের বাকি সমস্ত জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের জন্য কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। রবিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সন্ধ্যার পর হালকা বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখনই তাপপ্রবাহ কমবে না। আগামী পাঁচ দিন এই সমস্ত জেলাগুলিতে ব্যাপক গরম পড়বে। সাথে জারি রয়েছে তাপপ্রবাহের কমলার সতর্কতা।
কলকাতাতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে। উত্তরে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এদিকে দার্জিলিং বাদে বাকি উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী বলা যেতে পারে। তবে এর মাঝে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
বৃষ্টিপাত কবে থেকে হবে?
৫ মে থেকে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। জলীয় বাষ্প ঢুকতে পারে। কমবে লু-এর দাপট। উত্তর গোলার্ধে তৈরি হওয়া অক্ষরেখা ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে দক্ষিণ দিকে আসবে। সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বৃষ্টির। এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ৩০ এপ্রিল দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
১ জুন এই তিন জেলার সাথে যোগ হবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার। এই বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হবে গোটা জেলা জুড়ে নয়। সেই সাথে হবে বজ্রবিদ্যুৎ ও দমকা হাওয়া।
উপসংহার:
গ্রীষ্মকাল প্রকৃতির এক সুন্দর ঋতু। তীব্র গরমের কিছু অসুবিধা থাকলেও, এই ঋতুর সাথে যুক্ত অনেক আনন্দ ও রোমাঞ্চ।
ট্যাগঃ
আলিপুর আবহাওয়া আপডেট, হিট ওয়েভ 2024, আইএমডি আবহাওয়া আপডেট, কলকাতা আবহাওয়া, উত্তরবঙ্গ আবহাওয়া আপডেট, দক্ষিণবঙ্গ আবহাওয়া আপডেট