জন্মভিটে আমায় টানে ভীষণ ভাবে।
জন্মভিটে টান
মনের কোণে এক অস্পষ্ট টান,
জন্মভিটে যেখানে, সেই ডাক শুনতে পাই।
ছোটবেলার স্মৃতি, সুখের দিন,
সব মিশে এসে, মন করে ভারাক্রান্ত।
মাটির সোঁদা গন্ধ, বৃষ্টির পর,
খেলার মাঠ, বন্ধুদের গান, সব মিলে এক সুর।
ফুলের বাগান, ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ,
জন্মভিটে ফিরে যেতে, মন করে পাখির মত উড়ে যাই।
শহরের কোলাহল, ধোঁয়া আর দূষণ,
মনকে করে বিষণ্ণ।
শান্তির খোঁজে, মন করে ফিরে যেতে,
জন্মভিটে মাটিতে, মাথার ঘাম ঝরিয়ে কাজ করতে।
বৃদ্ধ মা-বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে,
মনে হয় যেন, সময় থেমে গেছে।
তাদের সাথে কাটানো দিনগুলো,
মনে পড়ে আজও, স্পষ্ট করে।
জন্মভিটে টান, এক অদৃশ্য শক্তি,
যে টানে মনকে, দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়।
ফিরে যেতে ইচ্ছে করে, সেই স্থানে,
যেখানে কেটেছে, সুখের দিনগুলো সহজে।
জন্মভিটের বাড়ি, পুরনো ছাউনি,
দাদুর গল্পের বাণী।
ঠাকুমার হাতের রান্না, ভাত আর ডাল,
সব মিলে এক স্বর্গ, মনে হয় যেন স্বর্গ।
খেলার মাঠে, বন্ধুদের সাথে,
ধুলোমাখা হয়ে, খেলাধুলা করে কাটত দিনরাত।
হাড়িভাঙা খেলা, লুকোচুরি,
হাসি-খুশিতে, কেটে যেত সারা দিন।
নদীর তীরে বসে বসে,
গান গাইতাম, গল্প বলতাম, মনের আবেগ ঝরিয়ে দিতাম।
প্রজাপতিদের উড়ন্ত খেলা,
মনকে করে তুলত হালকা, সব দুঃখ ভুলে যেতাম।
শহরের জীবনে, এসে পড়েছি,
কাজের চাপে, জীবন হয়েছে বন্দি।
জন্মভিটের টান, মনে হয় যেন এক বেদনা,
কখনো কি আর, ফিরে যেতে পারব না?
মা-বাবার বয়স হয়েছে,
শরীরও দুর্বল,
তাদের সাথে দেখা করার ইচ্ছে,
হৃদয়ে করে জ্বালা, মন করে কাঁদতে।
একদিন হয়তো, ফিরে যাবো,
জন্মভিটে মাটিতে, মাথা রাখবো।
মা-বাবার পাশে বসে, কথা বলবো,
সুখের দিনগুলো, আবারও মনে করবো।
জন্মভিটের মাটি, স্বর্গের মত মধুর,
সেই মাটির টান, কখনো হবে না ভুলে যাওয়া।