টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ আজকের দিনে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে বাংলার ১৩১৩ সালের ৫ই কার্তিক সোমবার, ইং ১৯০৬ সালের ২৩শে অক্টোবর বামাক্ষেপা তার প্রিয় ও প্রধান শিষ্য ঋষিকেশ চট্টোপাধ্যাযের বাড়িতে প্রথম ইকড়া গ্রামে পদার্পন করেন।
তিনি ৫ই কার্তিক থেকে ৮ই কার্তিক চারদিন ইকড়া গ্রামে ছিলেন। ঋষিকেশ চট্টোপাধ্যায় তারা মায়ের পুজো করবো বলে ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু বামদেব তার শিষ্যকে আদেশ দিয়েছিলেন জগদ্ধাত্রী পুজো আরম্ভ করার জন্য। বামদেবের আদেশে জগদ্ধাত্রী পুজো আবার পুনরায় শুরু হয় তার আগে জমিদার বিজয় গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায় এই পুজো শুরু করেছিলেন আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় জন্য সেই পুজো বন্ধ হয়ে যায়,বামদেবের আদেশে আবার শুরু হয়।আগে চারদিন ধরে এই পুজো হতো এখন নবমীর দিন চারপ্রহর পুজো হয় আর নরনারায়ন সেবার আয়োজন করা হয়।
বামদেব যখন ইকড়া গ্রামে এলেন তখন ঋষিকেশ চট্টোপাধ্যায়ের পিতা জমিদার বিজয় গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায় বাসন্তী মন্দিরের দালানে বসে বসে মা বাসন্তীর নাম করছিলেন সেই মুহূর্তে যখন প্রথম সাক্ষাৎকারে বামদেব বিজয় গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায়কে দেখেছিলেন আরে বিজয় তুই তো আমার আগের জন্মে ভাই ছিলিসরে তুই বলতিস আমি জমিদার হবো আর আমি বলতাম আমি সাধক হবো।
১৯০৬ সাল থেকে ১৯১১সালের মধ্যে বামদেব চারবার ইকড়া গ্রামে এসেছিলেন।
বাংলার ১৩১১ সালের ১লা আশ্বিন ঋষিকেশ চট্টোপাধ্যায় বামদেবের কাছে দীক্ষা নেন।
আবার আরেক ঘটনা শোনা যায় বামদেব তখন ইকড়ার বাসন্তী মন্দিরে সেইসময় জমিদার বাড়ির এই কন্যা প্রায় মৃত্যুশয্যায় শায়িত অন্দরমহল থেকে ডাক এলো জমিদারের কাছে,সেইসময় পাশে ছিলেন স্বয়ং বামদেব তিনি কারন সেবা করছিলেন। সেইসব কথা উনি শুনতে পেয়ে ওই মৃত্যুশয্যায় শায়িত মেয়েটাকে মন্দিরে আনার আদেশ দিলেন তারপর মেয়েটাকে মন্দিরে বামদেবের কাছে আনার পর সেই মেয়ে পুরোপুরি ভাবে সুস্থ হয়ে যায়। এইধরনের অনেক ঘটনা আছে যা ইকড়া গ্রামের সঙ্গে জড়িত।
১৯১১ সালে বামদেবের মহাপ্রয়ান হয়,তারাপীঠের বামদেবের সমাধি মন্দির ঋষিকেশ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারা তখনকার দিনে ২০০০টাকার খরচে নির্মাণ করা হয়,তারাপীঠ গেলে সেই সমাধি মন্দিরে যা এখনো জ্বল জ্বল করে। সেইবছরই ২রা শ্রাবণ তারাপিঠে ঋষিকেশ চট্টোপাধ্যায় বামদেবের তিরোধান উপলক্ষে মহাসমারোহে লোকজন খাওয়েছিলেন। এই সমস্ত তথ্য হরিচরণ শাস্ত্রী লিখিত বামলীলা পুস্তকে ৩০০নং পাতায় পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ্য করা আছে।
“সিংহস্কন্ধসমারূঢ়াং নানালঙ্কারভূষিতাম্।
চতুর্ভুজাং মহাদেবীং নাগযজ্ঞোপবীতিনীম্।।
শঙ্খশার্ঙ্গসমাযুক্তবামপাণিদ্বয়ান্বিতাম্।
চক্রঞ্চ পঞ্চবাণাংশ্চ দধতীং দক্ষিণে করে।।
রক্তবস্ত্রাপরিধানাং বালার্কসদৃশীতনুম্।
নারদাদ্যৈর্মুনিগণৈঃ সেবিতাং ভবসুন্দরীম্।।”