ব্লগিং করে টাকা আয় করার কয়েটি পদ্ধতি

Published By: Khabar India Online | Published On:

ব্লগিং করে টাকা আয় করার কয়েটি পদ্ধতি: 

কিভাবে করবেন? এই পোস্টে সেটি নিয়েই আলোচনা করবো।

পোস্ট সূচীপত্রঃ

ব্লগিং করতে হলে কি কি প্রয়োজন?

ব্লগিং করে টাকা আয় করার সকল পদ্ধতি

১. গুগল এডসেন্স।

২. এফিলিয়েট মার্কেটিং।

৩. স্পনসর।

৪. গেস্ট ব্লগিং।

৫. অনলাইন শপ।

যদি ব্লগিং করতে চান তাহলে প্রথমেই একটি ইন্টারনেট সংযোগ ও একটি কম্পিউটার বা মোবাইল দরকার। অবশ্যই আপনার একটি ওয়েবসাইটের দরকার হবে।

বর্তমানে গুগলের একটি ফ্রি পরিষেবা ব্লগার সম্পুর্ন ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরী করা যায়। আপনাকে এসইও সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে।

ব্লগিং করে টাকা আয় করার সকল পদ্ধতিঃ

 গুগল এডসেন্সঃ

এখনকার সময়ে বেশিরভাগ ব্লগার গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ব্লগিং করে টাকা আয় করছেন। গুগল এডসেন্স একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যেটি নানান কোম্পানির বিজ্ঞাপন তাদের নেটওয়ার্কের সাহায্য প্রচার করেন।
গুগল এডসেন্স নানান রকমের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখায়। যেসব ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স তাঁদের বিজ্ঞাপন দেখায় সেই সব ওয়েবসাইট গুলোকে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিতে হয়।

আরও পড়ুন -  এই লাস্যময়ীর সাথে শুভমন গিলের জীবনে নতুন অধ্যায়ের জল্পনা চলছে!

আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে, আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন। কিন্তু গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার আগে আপনাকে অবশ্যই এডসেন্স এপ্রুভ পেতেই হবে।

এডসেন্স এপ্রুভ পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলো ইউনিক ও এসইও ফ্রেন্ডলি করতে হবে। এডসেন্স এপ্রুভ পেলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখাবে। আর সেই বিজ্ঞাপন থেকে আপনি আয় করবেন।

 এফিলিয়েট মার্কেটিং: 

সামান্য কমিশনের বিনিময়ে কোন ব্যক্তি অথবা কোম্পানির পন্য প্রচার করে দেওয়াকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এখন ব্লগারদের সবথেকে পছন্দের আয়ের পথ হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। এর কারণ এটি অনেকটা সেফ ও আয় অনেক বেশি।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি কোম্পানির ওয়েবসাইটের এফিলিয়েট জোনে আপনাকে সাইনআপ করতে হবে।

তারপর প্রতিটি পন্যের জন্য আপনি একটি ইউনিক লিংক পাবেন। সেই লিংকটি আপনার সাইটের মাধ্যমে প্রমোট করতে হবে। উক্ত লিংকের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি ঐ পন্যটি কেনে তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন আপনার একাউন্টে জমা হবে।

আরও পড়ুন -  Royal Enfield Bullet দাম ও অবিশ্বাস্য ফির্চাস নিয়ে সেপ্টেম্বরেই লঞ্চ হবে

আপনি সেই কমিশন কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা অন্য কোনো মাধ্যমে উত্তলোন করতে পারবেন।

স্পনসরঃ

নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে অন্যের পন্য প্রচার করে দেওয়াকে স্পনসর বলে। একটি কোম্পানি সরাসরি একজন ব্লগ এর মালিককে ইমেইল করে। তাঁদের পন্য প্রচার করার জন্য অফার করেন।

সেই ব্লগার রাজি হলে, তাহলে সেই ব্লগার তাঁর ব্লগের মাধ্যমে উক্ত পন্যটি প্রচার করেন। বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের নতুন পন্য কোনো ব্লগার অথবা ইনফ্লুয়েন্সারকে দিয়ে প্রচার করান।

এক্ষেত্রে বেশিরভাগ কোম্পানি কোনো জনপ্রিয় ব্লগকে স্পনসর দেয়। আপনার ব্লগে যদি প্রচুর ভিজিটর থাকে তাহলে স্পনসরের জন্য একটি আলাদা ইমেইল ওয়েবসাইটে উল্লেখ করে দিতে পারেন। এর মাধ্যমে কোনো কোম্পানি যেনো সহজেই আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

 গেস্ট ব্লগিংঃ

নতুন ওয়েবসাইট তৈরী করেছে যারা, তাঁদের ওয়েবসাইটে তাড়াতাড়ি প্রচুর ভিজিটর আনার জন্য প্রচুর ব্যাকলিংকের দরকার। এই ব্যাকলিংক যদি কোনো ভালো ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া যায় তাহল এর মান বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন -  Srabanti Chatterjee: রোমান্সে মেতেছিলেন শ্রাবন্তী, অভিনেতা সাহেবের সাথে,আগে দরজা বন্ধ করুন তারপর দেখুন

আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো পরিমানে ভিজিটর থাকে তাহলে অনেকে আপনার সাইটে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে ব্যাকলিংক চাইবে। তাঁর জন্য কিছু টাকা চার্জ করতে পারেন।

যেহেতু আপনার সাইটে অনেক ভিজিটর আছে, তাই বেশিরভাগই টাকা দিতে রাজি হবে। অপরদিকে আপনি একটি আর্টিকেল ফ্রিতেই পাবেন।

 অনলাইন শপঃ

যদি একটি অনলাইন শপ থাকে আপনার, আপনার পন্য প্রচার করার সবথেকে সেরা মাধ্যম হবে ব্লগিং। বড় বড় মার্কেটিং এক্সপার্ট পন্য প্রচার করার পন্থা হিসেবে ব্লগিংকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

আপনার ব্লগের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পন্যের প্রচার করতে পারবেন। বহু কোম্পানি আছে যারা ব্লগের মাধ্যমেই সাধারণত পন্য প্রচার করে। এছাড়া ব্লগিং ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়।
ধরুন আপনি ভিডিও, ইমেজ, টেক্সট ও ব্যানার ইত্যাদি সব ধরনের বিজ্ঞাপন ব্লগের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন।