টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ দুবাইয়ে চাকরী দেওয়ার নাম করে কলকাতা লেক টাউনের বাসিন্দা অর্ঘ্য দাসের কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা নেই ধানবাদের বাসিন্দা আশীষ কুমার সিনহা।শর্ত দুবাইয়ে দুই বছরের জন্য চাকরি এবং ভিসা করে দেবে আশীষ। চাকরির আশায় এক মাস দশ দিনের ভিসা হাতে পেয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় অর্ঘ্য। সেখান গিয়ে তার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি হবে।সেই কথামত দুবাইয়ে গিয়ে এক কোম্পানি তে কাজে যোগ দেওয়ার এক মাস পেরিয়ে যাবার পরও ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি না হবার পর দুবাই থেকে আশীষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে অর্ঘ্য।কিন্তু আশীষের সদুত্তর না পাওয়াতে ভিসার মেয়াদ শেষ হবার আগেই দেশে ফিরে আসে অর্ঘ্য।তারপর আশীষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে আশীষ অর্ঘ্য কে সব টাকা ফেরত দেবার কথা স্বীকার করে এবং বৃহস্পতিবার আসানসোলে জুবিলি মোড়ে টাকা ফেরত নেবার জন্য ডাকে।
সেই কথা মত অর্ঘ্য তার মামার বাড়ি কেতুগ্রাম থেকে বন্ধু দের নিয়ে টাকা নিতে এসেছিল অর্ঘ্যরা।এই ঘটনা ধৃত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা যায় কিন্তু জুবিলি মোড়ে টাকা দেওয়া নিয়ে বচসা হলে তারা আশীষ কে গাড়িতে চাপিয়ে কেতুগ্রামের দিকে রওনা দেয়।তখন টাকা দিতে আসা আশীষের সঙ্গে তার মা ও বাবা ছিলেন। ছেলে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় নর্থ থানাতে ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে। সেই মত পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে শুরু হয় নাক চেকিং।অবশেষে বুদবুদ থানার নাকা চেকিং ধরা পড়ে যায় অর্ঘ্য এবং তার বন্ধুরা।উদ্ধার হয় আশীষ কুমার সিনহা।আজ দুপুরে ধৃত ওই চার যুবককে আসানসোল আদালতে তোলে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।ওই আদালতে দাঁড়িয়ে থাকা অর্ঘ্য দাসের বাবা মৃত্যুঞ্জয় দাসের অভিযোগ আমার ছেলে নির্দোষ।তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই আশীষ সিনহা আমার ছেলেকে চীট করেছে চাকরি দেবার নামে প্রতারনা করেছে।আর টাকা চাইতে গেলে টাকা দেবার নামে ছক কষে আমাদের ছেলেদের ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে আশীষ সিনহাকে জানতে গেলে ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেনি।