ডিম খাওয়া দরকার, কেন জানুন?

Published By: Khabar India Online | Published On:

একটি সিদ্ধ ডিমে থাকে ৭৮ ক্যালরি, ৬ দশমিক ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৫ দশমিক ৩৪ গ্রাম ফ্যাট এবং সামান্য কার্বোহাইড্রেট।

রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, সেলেনিয়াম, ফসফোরিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন ডি, জিংক, ফোলেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোলিন, লুটেইন এবং জেক্সানথিন।

ডিম খাওয়ার উপকারিঃ

এই ডিমে থাকা কোলাইন মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। মানুষের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে যে ফসফোলিপিডগুলো সচল রাখে সেই গুলি কোলাইন দ্বারা গঠিত। এই ভিটামিন আমাদের মস্তিষ্কের গঠনের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান।

কোলাইনের অভাব স্মৃতি হ্রাস ঘটায়। দিনে দুটো করে ডিম শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলাইনের জোগান দেয়। মস্তিস্ককে সুস্থ্য রাখতে রোজ দুটো ডিম খাওয়া খুবই দরকার।

আবার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে লুটিন নতুন গবেষণায় দেখা গেছে মুরগির ডিমে প্রচুর পরিমাণ লুটিন থাকে। লুটিন আবার আমাদের দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার এবং তীক্ষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে লুটিনের অভাব দেখা দিলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে আসে। চোখের টিস্যুকে ক্ষয় থেকে বাঁচাতে ডিম খান।

আরও পড়ুন -  "গরমে স্বাস্থ্যবান থাকার জন্য প্রয়োজনীয় লাইফস্টাইল পরিবর্তন"

ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি সরবরাহ করতে চাইলে খেতে একটি সেদ্ধ ডিম। অনেক জায়গায় ডিমে ভিটামিন ডির পরিমাণ বাড়াতে মুরগিদের ভিটামিন ডি খাওয়ানো হয়। খাবারের সাথে আমরা যে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করি তা শোষণ করতে ভিটামিন ডি দরকার।

ক্যালসিয়াম দাঁত এবং হাড়কে শক্ত করে।

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ত্বক, চুল এবং লিভার সুস্থ রাখে। চুল এবং ত্বক শক্ত পাশাপাশি টানটান রাখতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন -  প্রিয়া গামরে এবং নীলমের নতুন ওয়েব সিরিজ সোনা উল্লু প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে, ট্রেলার (Updated Web Series)

ভিটামিন বি১২ বায়োটিন সহজে হজম হয় এমন পুষ্টিকর প্রোটিন। আমাদের লিভারে থাকা বিষাক্ত পদার্থ দূর করে মুরগির ডিমে থাকা ফসফোলিপিড।

কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় নতুন গবেষণায় দেখাচ্ছে যে ডিম আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ায় না বরং ডিমে থাকা ফসফোটাইডস আমাদের শরীরের কোলেস্টেরেরল মাত্রা ঠিক রাখে।

ফসফোটাইড আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল উৎপাদনে বাঁধা দেয়। ডিমে থাকা ওমেগা-৩ এসিড ট্রাই গ্লিসারাইড লেভেল কমায়। তাতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় মস্তিস্কের সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ডিমে থাকা কোলাইন ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। সাম্প্রতিক গবেষণা দেখাচ্ছে যেসব মেয়েরা তাদের বয়ঃসন্ধিতে প্রতিদিন ডিম খেয়েছে তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ পর্যন্ত কম দেখা যায়।

আরও পড়ুন -  Drink Tea: নিজের ক্ষতি করছেন না তো? খালি পেটে চা পান

গর্ভধারণে সাহায্য করে আমাদের শরীরে সেক্স হরমোনগুলোর গঠনে ভিটামিন বি অন্যতম ভূমিকা পালন করে। মহিলারা গর্ভধারণ করতে চায় তাদের জন্য ভিটামিন বি৯ এ থাকা ফলিক এসিড খুবই প্রয়োজনীয়। এটা লাল রক্ত কণিকা এবং ফিটাসে থাকা নিউরাল টিউব গঠনে ও ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।

বাচ্চার মানসিক প্রতিবন্ধকতাও দূর করতে সাহায্য করে। একটি মুরগির ডিমে ৭.০ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন বি-৯ পাওয়া যায়।

বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে ডাচ বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ডিম খাওয়া ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়স্ক ৮৭ শতাংশ মহিলার ত্বকে থাকা বয়সের চিহ্ন দূর হয়েছে এবং চামড়ার ঝুলে পড়া ভাব দূর করেছে।