এইচআইভি প্রতিরোধ সংক্রান্ত গ্লোবাল প্রিভেনশন কোয়ালিশনে ডাঃ হর্ষবর্ধনের ভাষণ

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এইচআইভি প্রতিরোধ সংক্রান্ত গ্লোবাল প্রিভেনশন কোয়ালিশন বা বিশ্বব্যাপী এই মারণ রোগের বিরুদ্ধে সমবেতভাবে লড়াইয়ে বিভিন্ন দেশকে নিয়ে গঠিত জোটের মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে ভাষণ দেন। গ্লোবাল এইচআইভি প্রিভেনশন কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে ইউএন এইডস্ এবং ইউএন এফপিএ এই বৈঠকের আয়োজন করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে মারণ এইডস্-কে চিরতরে নির্মূল করতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২০১৬-তে গৃহীত অঙ্গীকারগুলি পূরণের লক্ষ্যে এ বছরের এই বৈঠকের অত্যন্ত তাৎপর্য রয়েছে। জোটের সদস্য দেশগুলি ২০১০ – এর তুলনায় ২০২০-তে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সম্মত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এইডস্ দূরীকরণে অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতি-স্বরূপ নতুন সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং প্রতিরোধমূলক পরিষেবার মান আরও বাড়াতে তথা এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের কাছে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে এই জোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে বলে ডাঃ হর্ষবর্ধন অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, এই জোট অবশিষ্ট বিশ্বকে দেখিয়েছে কিভাবে একজোট হয়ে অভিন্ন উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করা যায়।

আরও পড়ুন -  রজনীকান্ত ৫১তম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন

ডাঃ হর্ষবর্ধন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এইচআইভি-র প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে পাঠানো অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ড্রাগস্ (এআরভি) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।

ভারতের অভিনব এইচআইভি প্রতিরোধ মডেল সম্পর্কে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থার মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধে ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে একাধিক উদ্যোগ রূপায়িত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অসরকারি সংগঠনগুলির সহায়তায় সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ব্যবস্থা ভারতে এইচআইভি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে মডেল হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে এবং বহু দেশ ভারতের এই মডেলকে কাজে লাগাচ্ছে। এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধে এই মডেল কেবল এইডস-ই নয়, অন্যান্য রোগ-ব্যাধি নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ডাঃ হর্ষবর্ধন আরও বলেন, মায়ের থেকে শিশুর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতে ‘মিশন সম্পর্ক’ কর্মসূচির মাধ্যমে অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট সংক্রান্ত পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, মা ও শিশুর নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারি স্তরে নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ১০ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  তৃণমূলের উপর হামলা নিয়ে ধিক্কার বামনেত্রী দীপশিতা ধরের, ত্রিপুরার ঘটনায়

ডাঃ হর্ষবর্ধন দেশে এইডস্ মতো মারণ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘দ্য হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস অ্যান্ড অ্যাকুয়ার্ড ইমুউনোডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম (প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল) অ্যাক্ট, ২০১৭ কার্যকর হয়েছে। এইডস্ সংক্রমণ প্রতিরোধে এই আইন সংক্রমিত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্বার্থ সুরক্ষায় এক আইনি কাঠামো ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।

আরও পড়ুন -  VIDEO: এই অভিনেত্রীকে স্টেজে জড়িয়ে ধরে রোম্যান্স করলেন খেসারি লাল যাদব, ভিডিও হল ভাইরাল

ডাঃ হর্ষবর্ধন সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নতুন ধরনের অসুরক্ষিত ভাইরাস ও তার ঝুঁকি সম্পর্কে, যেগুলি মহামারীর উৎস – সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে পর্যায়ক্রমে এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন। ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস্ – এর প্রাদুর্ভাব দেশ থেকে চিরতরে দূর করতে ভারত সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করে ডাঃ হর্ষবর্ধন তাঁর ভাষণ শেষ করেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে স্বাস্থ্য বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব শ্রীমতী আরতী আহুজা, যুগ্মসচিব শ্রী অলোক সাক্সেনা এবং জাতীয় এইডস্ নিয়ন্ত্রণ সংগঠনের অতিরিক্ত মহানির্দেশক শ্রীমতী শোবিনী রঞ্জন-ও যোগ দেন। সূত্র – পিআইবি।