ইউক্রেন-রাশিয়া, বন্দি বিনিময় করলো

Published By: Khabar India Online | Published On:

বন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যস্থতায়। এতে মুক্ত হয়েছে দু’দেশের ৪৭৮ জন সেনা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ প্রথম বড় আকারে বন্দি বিনিময় করলো।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ জানান, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ ২৩০ ইউক্রেনীয় বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া। অপরদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ২৪৮ রাশিয়ানকে মুক্তি দেয় ইউক্রেন।

আরও পড়ুন -  বিশ্বশক্তিগুলো দূরে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছে, লড়ছি একাই, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, আমাদের নাগরিকরা আজ বাড়িতে আছেন। আজ আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে ২০০ জনেরও বেশি যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছি।’এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্দি বিনিময়ের এ সমঝোতা বেশ ‘কঠিন’ ছিল।

বিবিসি বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া সর্বাত্মক সামরিক আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে উভয় দেশ বেশ কয়েক দফা বন্দি বিনিময় করেছে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট গত মাসে বলেছিলেন, রাশিয়ার কিছু ‘নির্দিষ্ট কারণে’ এ প্রক্রিয়াটি ধীর হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন -  এক কাপ তৃপ্তিদায়ক চা সহযোগে সুট্টা বার খড়গপুরে তাদের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেটটি খুলল

ইউক্রেন বলেছে, তাদের মুক্ত করা সৈন্যদের মধ্যে কৃষ্ণসাগরের পাথুরে দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডের সাতজন যোদ্ধাও রয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে চেরনোবিল অঞ্চলে বন্দি হওয়া ন্যাশনাল গার্ডসের সদস্য ও মারিউপোলের আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্টের যুদ্ধের সময় আটক সৈন্যরাও আছেন।

আরও পড়ুন -  Medical College: বাংলা জুড়ে ব্যাপক উদ্যোগ মমতা সরকারের, ডাক্তারি পড়তে অন্য রাজ্যে যেতে হবে না

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছজন বেসামরিক নাগরিকও ছিলেন।

উভয় পক্ষই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। গত মাসে ইউক্রেন জানায়, তারা ৪৮ দফায় বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে প্রায় ২ হাজার ৫৯৮ জনকে মুক্ত করেছে। রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়া কিছু ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি বলেছেন, তারা মারধর ও বৈদ্যুতিক শকসহ নানান ভাবে নির্যাতনের শিকার।

ছবিঃ সংগৃহীত।