ঘূর্ণি ঝড়ের জন্য সারা দেশের কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়। বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেড়েছে বৃষ্টির গতি। কলকাতায় সকাল থেকে বৃষ্টির বেগ মাঝে মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই আবহাওয়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় বদলাতে শুরু করেছে। আবার পাহাড়ে তুষারপাতের কারণে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে চলে গেছে। সমতল রাজ্যের মানুষ এই সময়ে শীতের অপেক্ষায় আছেন।
কাশ্মীরে উপত্যকার বেশিরভাগ অংশে পারদ হিমাঙ্কের নীচে নেমে গেছে। এর ফলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আকাশ সাধারণত মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
৭ ডিসেম্বর মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের সাথে তামিলনাড়ুর উত্তর অংশে সমুদ্রের অবস্থা উত্তাল থেকে খুব উত্তাল হতে পারে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, দক্ষিণ বিহার ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু জায়গায় আজ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সপ্তাহের শেষ দিকে পারদ নামতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পূর্ব মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ, পূর্ব তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূল ও আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, মারাঠওয়াড়া, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। উত্তর ভারতের সমভূমিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করছে। দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চল সহ সমভূমির অনেক অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে।