বন্দুকধারীদের হামলা ক্যামেরুনে, নিহত ২০

Published By: Khabar India Online | Published On:

বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে মধ্য আফ্রিকায় ক্যামেরুনে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। সোমবার ভোরে অতর্কিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।

ক্যামেরুনের স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ভিয়াং মেকালা গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, বন্দুকধারীরা মামফে শহরের পাশে এগবেকাও গ্রামে হামলা হয়। এ সময় বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ঘুমন্ত অবস্থায় নির্বিচারে হত্যা করা হয়।

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাংলোফোন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পশ্চিম ক্যামেরুনে অ্যাম্বাজোনিয়া নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে। এই অঞ্চলটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সরকারি বাহিনীর সাথে সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে সেখানে হামলা, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা চলছে।

আরও পড়ুন -  IND vs SA: ইতিহাস গড়বেন কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ব্যাটসম্যান হিসেবে অর্জন করবেন এই কীর্তি বিশ্বের প্রথম

স্থানীয় কর্মকর্তা ভিয়াং মেকালা জানান, নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, মানুষের আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয় বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

একজন সিনিয়র আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, হামলায় প্রায় ২০ জন পুরুষ, নারী এবং শিশু নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১০ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন, ১৫টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Africa: ৬০ বেসামরিক নাগরিক নিহত, বুরকিনা ফাসোয় সশস্ত্র হামলায়

এদিকে অ্যাংলোফোন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার জন্য দায়ী করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ।

মধ্য আফ্রিকান দেশটি ৪১ বছর ধরে শাসন করছেন ৯০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট পল বিয়া। সাত বছর ধরে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ক্যামেরুন সরকার।

আরও পড়ুন -  Web Series: বিপদে পড়ল যুবক বিছানায় ঘনিষ্ঠ হবার সময়ে, একা দেখবেন এই সিরিজটি

২০১৭ সালে নিরাপত্তা বাহিনী ইংরেজি ভাষীদের প্রতিবাদ দমনের পর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর আবির্ভাব হয়। এরপর থেকে ওই এলাকায় শুরু হওয়া লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি লোক নিহত এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সূত্রঃ আল জাজিরা। ছবিঃ আল জাজিরা।