বিশ্বের সব থেকে ছোট ছবি আঁকার স্ট্যান্ড তৈরি করে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নাম তুললো কোয়েল

Published By: Khabar India Online | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাকদ্বীপঃ   বিশ্বের সবথেকে ছোট ছবি আঁকার স্ট্যান্ড তৈরি করে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নাম তুললো কোয়েল।

অবিশ্বাস্যকর প্রতিভা দিয়ে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নাম তুললো কাকদ্বীপের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। দেশলাই কাঠি দিয়ে ছোট ছবি আঁকা স্ট্যান্ড বানিয়ে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডের নাম নথিভুক্ত করলো কোয়েল পুরকাইত।

কোয়েল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের সুভাষ নগরে বাসিন্দা। বর্তমানে কোয়েল কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকার দিকে বিশেষ আগ্রহ ছিল কোয়েলের। কোয়েলের বাবা কর্মসূত্রে ভিন্ন রাজ্যে থাকেন। মাত্র ৩ বছর বয়েস থেকে কোয়েল ছবি আঁকা শুরু করে। এরপরে কাকদ্বীপের সুন্দরবন আর্ট একাডেমিতে ছবি আঁকা শিখতে শুরু করে।

আরও পড়ুন -  Weather Update: আবহাওয়ার সাম্প্রতিক পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা! ভিজবে কলকাতাও

অবিশ্বাস্যকর প্রতিভা দিয়ে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ড এর নাম নথিভুক্ত করে কোয়েল। দেশলাই কাঠি দিয়ে ৩.৯×৩.৪ সেমি ছবি আঁকার স্ট্যান্ড তৈরি করে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ড এর জায়গা করে নেয় কাকদ্বীপের এই ছাত্রী। কোয়েলের এই কৃতিতে খুশি কাকদ্বীপবাসী। এই খবর পাওয়ার পর থেকে কোয়েলকে সম্বর্ধনা যাপন করতে এলাকার মানুষ ভিড় জমিয়েছে কোয়েলের বাড়িতে। কোয়েল ছবি আঁকার সুবাদে এই এলাকায় পরিচিত ও বেস জনপ্রিয়।

কোয়েল পুরকাইত জানান, দুমাস আগে দেলাই কাঠি দিয়ে ৩.৯ সেমি একটি ছবি আঁকার স্ট্যান্ড তৈরি করে দিল্লিতে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ড সংস্থা কাছে আমি পাঠাই। এরপর দুমাস পরে আমার মেলে একটি ইমেইল আসে ওই সংস্থা থেকে সেই সংস্থা থেকে জানায় যে আমার এই স্ট্যান্ড জায়গায় করে নিয়েছে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে। আমার এই কৃতিত্বের পিছনে আমার ছবি আঁকার স্যার দেবরাজ বেরার অবদান রয়েছে। সবথেকে ছোট ছবি আঁকার স্ট্যান্ড তৈরি করার বুদ্ধি তা এসেছে আমায় মাথায়। আমরা ছবি আঁকার বহু বড় বড় স্ট্যান্ড দেখেছি কিন্তু ছোট স্ট্যান্ড আমরা দেখিনি। এরপর তিন থেকে চার মাসের অধ্যবসায়ের পর আমি এই প্রতিভা রপ্ত করতে পেরেছি। আগামী দিনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে আমি ছবি আঁকা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। মেয়ের এই সাফল্যে কোয়েলের মা মিঠু পুরকাইত তিনি বলেন, মেয়েদের সাফল্যে পরিবারের লোকজনেরা সকলেই খুশি।

আরও পড়ুন -  মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে এত আম আপনারা পাঠিয়েছেন আম ভাগ করতে হিমশিম খেতে হয়েছেঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকাতে বিশেষ পারদর্শী ছিল কোয়েল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোয়েলকে ছবি আঁকার বিষয় নিয়ে কোন বাধা দেয়া হয়নি। মেয়ের এই সাফল্যে আপ্রুত কাকদ্বীপবাসী। এ বিষয়ে প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা জানান, কোয়েল কাকদ্বীপের গর্ব। কোয়েলের এই সাফল্যে খুশি কোয়েলের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।

আরও পড়ুন -  Accident: মাকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না !